কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
যান চলাচল এতটা মসৃণ হওয়ার একটা কারণ আছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না পড়তে হয়, তার জন্য এদিন সকাল থেকে কাশীপুর রোড, খগেন চ্যাটার্জি রোড, দমদম রোড, মণীন্দ্র রোড, বেলগাছিয়া রোড প্রভৃতি রাস্তায় ছোট পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই রাস্তাগুলি দিয়ে রাত ৯টার আগে বড় লরি চালানো আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই কারণেই মূলত টালা ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পর যতটা যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটা হয়নি। কিন্তু বড় লরি না চললেও সকাল থেকে এই রাস্তাগুলিতে, বিশেষ করে কাশীপুর রোড দিয়ে প্রচুর ছোট পণ্যবাহী যান চলাচল করে। ওই পণ্যবাহী গাড়িগুলি ওই সব রাস্তায় যানবাহনের চাপ বাড়িয়ে দেয়। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে ওই রাস্তাগুলিতে কোনও ছোট পণ্যবাহী গাড়ি না চলায় স্বাভাবিকভাবেই গাড়ির চাপ কমে গিয়েছে। অফিস টাইমে এই রাস্তাগুলি অন্যদিনের তুলনায় অনেক ফাঁকা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক-দেড় ঘণ্টা আগে কাশীপুর রোডে কোনও যানজট ছিল না। কাশীপুর ব্রিজের উপর গাড়ি কিছুটা থমকেছে। তবে তাও খুব অল্প সময়ের জন্য। এর কারণ হল চিড়িয়ামোড়ের দিকে যাওয়া ছোট গাড়ি, বাসগুলির লক গেট ফ্লাইওভারে ওঠানোর জন্য কাশীপুর ব্রিজ ধরে বাগবাজারের দিকে যাওয়া যানবাহনগুলিকে কিছুটা সময়ের জন্য আটকাতে হচ্ছে।
তবে কাশীপুরের দিক থেকে বাস ধরে বাগবাজার-শ্যামবাজার আসার দুর্ভোগ এদিনও পোয়াতে হয়েছে। কাশীপুর রোড ধরে দুটি রুটের বেসরকারি বাস চলছে। যাত্রীর তুলনায় বাস কম হওয়ার কারণে অফিস টাইমে ওই বাসগুলিতে খুব ভিড় হচ্ছে। অটো রিকশয় ওঠার জন্য পড়ছে লম্বা লাইন। পরীক্ষার্থী ও স্কুল ছাত্রদের বেশি ভাড়া দিয়ে অটো রিজার্ভ করে যেতে দেখা গিয়েছে। তবে বি টি রোড ধরে পাইকপাড়া-বেলগাছিয়া হয়ে শ্যামবাজার অভিমুখী বাসে ভিড়ের সমস্যা এতটা ছিল না। কারণ ওই রুটে বাসের সংখ্যা অনেক বেশি। সরকারি অতিরিক্ত বাসও রাস্তায় নেমেছিল।