বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সূত্রের খবর, মেয়র খোদ নেদারল্যান্ডস থেকে দেখে এসেছেন, কীভাবে ভূ-গর্ভস্থ জলকে ‘রিচার্জ’ করা যায়। সেই পদ্ধতিতেই মেয়র মা উড়ালপুলের নীচে ভূগর্ভস্থ জল ধরে রাখার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি বলেন, মা উড়ালপুলের নীচে একটা জায়গা বেছে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। যদি সাফল্য পাই, তাহলে ভূ-গর্ভস্থ জলকে দ্রুত শেষ হওয়া থেকে রুখতে ওই আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। জল সরবরাহ বিভাগের শীর্ষকর্তার কথায়, শহরে জলের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। বড় বড় বহুতল তৈরি হচ্ছে। সেই আবাসনগুলির কর্তাদের কাছে জল সংরক্ষণের জন্য আমরা বারবার আবেদন করছি। কিন্তু কেউ তাকে গুরুত্ব দেয়নি। অথচ ভূগর্ভস্থ জলস্তর অত্যন্ত উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। ইএম বাইপাস লাগোয়া এমন অনেক আবাসন রয়েছে, যেখানকার বাসিন্দারা পর্যাপ্ত জল পাচ্ছেন না বলে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করছেন। ওই পুরকর্তার কথায়, নাগরিকরা যদি পর্যাপ্ত জল সংরক্ষণ করে রাখেন, তাহলে পুরসভার উপরে চাপ অনেকটাই কমে যাবে। এক পরিবেশবিদের কথায়, শহরে বেশ কিছু বাড়ি রয়েছে, যেখানে ডিপ-টিউবওয়েল রয়েছে। ওই ভৌম জল প্রতিদিন নিঃশেষিত হচ্ছে, তার দশ শতাংশ জলও ভূগর্ভে প্রবেশ করছে না। যদিও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কথা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণ ভৌম জল সঞ্চিত রয়েছে। কিন্তু এভাবে প্রতিনিয়ত ভূগর্ভস্থ জল তোলা হলে তা শেষ হতে বেশি সময় লাগবে না।
২০১৮ সালের জুন মাসে প্রকাশিত নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৬০ কোটি ভারতীয় চরম জলকষ্টের শিকার এবং বছরে প্রায় দু’লক্ষের মতো মানুষ মারা যাচ্ছে শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে। এই অভাব আরও প্রকট হবে ২০৩০ সাল নাগাদ, যখন চাহিদা অনুযায়ী পানীয় জলের জোগান প্রায় নিঃশেষিত হয়ে পড়বে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২০ সালের মধ্যে ভারতবর্ষের ২১টি শহরে ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের ভাণ্ডার প্রায় তলানিতে ঠেকবে। ওই তালিকার শীর্ষে রয়েছে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদের মতো শহরগুলি। গত বছর চেন্নাইয়ে তার প্রমাণ মিলেছে। যেখানে সোনার চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে পানীয় জল।