কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ভাড়াটিয়াদের তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে এর আগে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। নিশ্চিন্দা থানার অধীনে বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়ও নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া মাইকেও প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু থানায় এসে ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য জানাতে কেউ তেমন আগ্রহ দেখাননি। তাছাড়া ভাড়াটিয়া বদল, কিংবা ভাড়াটিয়া উঠে যাওয়ার নিরন্তর প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। তাই এককালীন সমীক্ষায় এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে একমাত্র নাগরিকরা সচেতন হলেই সাফল্য সম্ভব। তাই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এলাকায় চুরি কমাতে এবং অপরাধী ও অপরাধপ্রবণ ব্যক্তিদের লুকিয়ে থাকার মতো ঘটনা ঠেকাতে এই কাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করেন পুলিসকর্তারা। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালি, বেলুড় ও নিশ্চিন্দার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো। পাশাপাশি হাওড়া-হুগলির শিল্পাঞ্চল এবং ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গেও এই এলাকার যোগাযোগ রয়েছে। ফলে হাওড়ার এই এলাকায় দিনে দিনে ভাড়াটিয়ার সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্যের বাইরের বহু মানুষ এসব এলাকায় ঘর ভাড়া নিচ্ছেন। প্রতিদিন এলাকার কারও না কারও ঘরে নতুন ভাড়াটিয়া আসছে। কেউ ভাড়া ছেড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছেন অন্যত্র। এই অসংখ্য ভাড়াটিয়া সম্পর্কে কোনও নথি বা তথ্য নেই স্থানীয় প্রশাসন তথা পুলিসের কাছে। ভাড়াটিয়াদের তথ্য জানতে মাস ছ’য়েক আগে নিশ্চিন্দা থানা রেজিস্ট্রার তৈরি করে। কারও বাড়িতে ভাড়াটিয়া থাকলে তারা যেন থানায় এসে তা নথিভুক্ত করে যান, তার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকে প্রচারও করে পুলিস। কিন্তু সেই প্রচারে কার্যত কোনও নাগরিক সাড়া দেননি। তাই স্থানীয় ক্লাবের কর্তাদের ডেকে তাঁদের এই সচেতনতায় শামিল করেছে পুলিস।