বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ওই নির্যাতিতা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, আমার মেয়ের সঙ্গে অনিরুদ্ধবাবুর ছেলে একই স্কুলে পড়ে। সেই সুবাদেই আমাদের পরিচয়। অনিরুদ্ধবাবু বলেছিলেন, স্ত্রী পাপিয়াদেবীর সঙ্গে তাঁর শারীরিক, মানসিক সম্পর্ক নেই। আমাকে বিয়ে করে উনি বাড়ির নোংরা পরিবেশ থেকে সুন্দর ও সুস্থ জীবনে ফিরতে চান। আমি ওনার কথায় বিশ্বাস করেছিলাম। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সঙ্গে সহবাস করেন অনিরুদ্ধবাবু। ‘অন্তসত্ত্বা’ হয়ে পড়লে ভয় দেখিয়ে আমার গর্ভপাত করানো হয়। বিয়ের জন্য অনিরুদ্ধবাবুকে চাপ দিলে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি স্বামী ও দলবল নিয়ে পাপিয়াদেবী আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। আমাকে সপরিবারে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, অভিযুক্তরা ‘প্রভাবশালী’ হওয়ায় প্রথমে পাটুলি থানা শুধু জিডি করে দায় সারে। ২২ ডিসেম্বর বেআইনি অনুপ্রবেশ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, চুরি, হুমকি সহ একাধিক ধারায় এফআইআর হয় তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এদিকে, তদন্তের মাঝপথে নির্যাতিতা পুলিসের কাছে নতুন করে অভিযোগের পাশাপাশি বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। যার ভিত্তিতে ৩ ফেব্রুয়ারি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, জোর করে গর্ভপাতের ধারা সংযোজন হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই মহিলার ‘মেডিকোলিগ্যাল’ পরীক্ষা হওয়ার কথা।
অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় অনিরুদ্ধবাবু বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। উনি ইনসিওরেন্সের কাজ করেন। আমার সাহায্য চেয়েছিলেন। পরিচিতদের দিয়ে আমি বিমা করিয়ে দিই। কিন্তু টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আসে। কাউন্সিলার হিসেবে আমার স্ত্রী টাকা ফেরত দিতে বলেছিলেন। নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগও হয়েছে। তাই মিথ্যা মামলা করে আমার সুনাম নষ্টের চক্রান্ত হচ্ছে। আমার দলের একাংশও ওই মহিলাকে ইন্ধন দিচ্ছেন। তবে নিজের ও স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে পাপিয়াদেবী কথা বলতে চাননি। জেলার তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, আইন আইনের পথে চলবে।
এদিকে, নির্যাতিতার অভিযোগ, জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হওয়া পরও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি পাটুলি থানা। সেই সুযোগে আলিপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন ওই কাউন্সিলার ও তাঁর স্বামী।