পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রবিবার রাত থেকেই ওই ঘটনার তদারকিতে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, হুগলি জেলা সপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগণার বিধায়ক রথীন ঘোষ ও মৃতের আত্মীরা চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে মরদেহ নিতে এসেছিলেন। সেখানে প্রয়াত কাউন্সিলার তথা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল মেম্বার ও তার ভাইকে শ্রদ্ধার্ঘ্য দেওয়া হয়।
দুই ভাইয়ের মৃতদেহ এদিন বারাসতে ফিরতেই শোকের আবহ কান্নার রূপ নেয়। দুই গৃহবধূর স্বামী হারানোর হাহাকার দেখে চোখের জল মানেনি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা শহরবাসী ও তৃণমূল নেতৃত্বের। মৃত তৃণমূল কাউন্সিলার ও তাঁর ভাইকে শেষ শ্রদ্বা জানাতে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সংসদ সদস্য কাকলি ঘোষদস্তিদার, বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ সহ অসংখ্য কর্মী। বাম নেতৃত্বও শেষ শ্রদ্ধা জানায়। এদিন বারাসত শহরের বিভিন্ন জায়গায় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর বাঁকুড়ার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রণব ভট্টাচার্যের ছেলে সোহমের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান রয়েছে। বাঁকুড়ায় গ্রামের বাড়িতে নেমন্তন্ন করতে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার সকালে বারাসতের বাড়ি থেকে বের হন প্রদ্যোৎ। এদিন ময়নাতদন্তের পর বিকেলে বারাসতে কাউন্সিলার ও তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ পৌঁছয়। প্রদ্যোৎবাবুর স্ত্রী মৌমিতাদেবী স্বামীর মৃতদেহ ধরে কাঁদতে কাঁদতে মূর্চ্ছা যান। পাশে বসা মেয়ে সুতীর্থাও বাবার শোকে বিহ্বল। প্রণববাবুর স্ত্রী নন্দিনী স্বামীকে জড়িয়ে ধরে হাহাকার করতে করতে বলেন, ছেলেকে একবার দেখে যাও। ওর অন্নপ্রাশন আছে তো!
এদিন শেষশ্রদ্ধা জানাতে এসে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, জাতীয় সড়কের ধারে ধারে বেআইনি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রিয় চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল প্রদ্যোতের অকাল প্রয়াণে আমরা মর্মাহত। সেকারণে আগামী ৭ দিন তৃণমূলের যাবতীয় দলীয় কর্মসূচি বন্ধ রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য প্রদ্যোৎবাবু তাঁর ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বাঁকুড়ায় গিয়েছিলেন। ভাইয়ের পরিবারের একটি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানাতেই তাঁরা রবিবার সেখানে যান। রাতে দুই ভাই আরামবাগ-চণ্ডীতলা সড়ক ধরে ফিরছিলেন। চণ্ডীতলার কাছে রাজ্য সড়কের উপর তাঁদের গাড়িটি একটি দাঁড়িয়ে থাকা দশচাকার লরিতে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই প্রদ্যোৎবাবুর মৃত্যু হয়। তাঁর ভাই ও চালককে চণ্ডীতলা হাসাপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে পরে তাঁর ভাইও মারা যান। চালক এখনও চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনারই তদন্তে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল সোমবার চণ্ডীতলায় এসেছিল।