বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলকারটিতে জনা ১৫ পড়ুয়া ছিল। সকলেই স্থানীয় স্কুলের ছাত্রছাত্রী। গাড়িটি কলকাতা স্টেশনের দিকে আসছিল। গতি বেশ জোরেই ছিল বলে বক্তব্য এলাকার বাসিন্দাদের। উল্টো দিক আসছিল একটি মোটরবাইক। সেটি চালাচ্ছিলেন অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। বাইকের পিছনে এক মহিলা বসেছিলেন। দ্রুতগতিতে চলা পুলকারের চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে রাস্তার ডানদিকে চলে আসেন। এই সময় মুখোমুখি পড়ে যায় বাইকটি। পুলকারটি ধাক্কা মেরে বসে বাইকটিকে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন বাইকের চালক ও পিছনে বসে থাকা মহিলা। তাঁদের দুজনেরই পায়ে আঘাত লাগে। পুলকারে থাকা পড়ুয়ারা ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। স্থানীয়রাই গাড়িটিকে আটক করে বাচ্চাদের গাড়ি থেকে নামান। খবর দেওয়া হয় উল্টোডাঙা থানায়। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পুলিস ঘটনাস্থলে চলে আসে। বাচ্চাদের স্কুলের সময় হয়ে যাওয়ায় পুলকারের গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে নেয় পুলিস। আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আহত অভিজিৎ মণ্ডল থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন ওই পুলকারের বিরুদ্ধে। এরপরই চালক মহম্মদ সাহিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তার বিরুদ্ধে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিস জেনেছে, গাড়িটিতে প্রাইভেট নম্বর প্লেট লাগানো ছিল। অথচ সেটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
পোলবার পুলকার দুর্ঘটনার পর লালবাজারের নির্দেশে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করার কাজ চলছে। চালকের লাইসেন্স থেকে শুরু করে মদ্যপ অবস্থায় কেউ গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা, তাও দেখা হচ্ছে।
সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড ও এস এন ব্যানার্জ্জি রোডের সংযোগস্থলে ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙার অপরাধে একটি পুলকারকে আটক করেন কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মানবেন্দ্র বিশ্বাস। গাড়িটিতে জনা ১৫ পড়ুয়া ছিল। সকলেই স্থানীয় স্কুলের ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। সার্জেন্ট চালকের লাইসেন্স দেখতে চান। কিন্তু চালক তা দেখাতে পারেনি। এই নিয়ে পুলিসের সঙ্গে তর্ক শুরু করে ওই চালক। কথা বলার সময় সার্জেন্ট বুঝতে পারেন, চালকের মুখ দিয়ে একটা গন্ধ বেরচ্ছে। ব্রেথ অ্যানালাইজার দিয়ে পরীক্ষা করতেই দেখা যায়, সে মদ্যপ রয়েছে। গাড়ি চালানোর মতো পরিস্থিতিতেই নেই। চালককে আটক করে তালতলা থানার হাতে তুলে দেয় পুলিস। পুলকারে থাকা পড়ুয়াদের অন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে তাদের বাড়ি পাঠায় পুলিস।