পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হাউজিং ফর অল প্রকল্পে গত পাঁচ বছরে নিউ বারাকপুর পুরসভায় ২০০টি বাড়ি তৈরি হয়েছে। অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে আরও ৭০০ বাড়ি। এই প্রকল্পে উপভোক্তার জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, উপভোক্তাদের ২৫ হাজার টাকা জমা করতে হয়। তবেই অ্যাকাউন্টে আসে প্রকল্পের টাকা। পাঁচটি ধাপে পুরো টাকা পান উপভোক্তারা। নিউ বারাকপুর শহরে ইতিউতি শোনা যায়, আবাস যোজনায় বরাদ্দ টাকা থেকে ৩০-৪০ হাজার টাকা কেটে নিয়েছেন কাউন্সিলাররা। কাটমানি ইস্যুর সময় এই শহরের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই পোস্টার পড়েছিল। তাতে সেই সময় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসকদল। সেই ইস্যু এখন ফিকে। কিন্তু কাটমানির ভাগ কে কে পেয়েছেন, তা অনেকেই জানেন। তাই তৃণমূলের নেতারাও বলছেন, দলনেত্রী তো বলেই দিয়েছেন, কাটমানি ফেরত দিয়ে দাও। যাঁরা খেয়েছিলেন, তাঁরা দলনেত্রীর নির্দেশ মেনেছেন।
পুরসভায় স্থায়ী কর্মী নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ নিয়ে সরব বিরোধীরা। দু’দফায় মোট ৫২ জন স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। অন্য জেলার প্রার্থীরাও এখানে চাকরি পেয়েছেন। অভিযোগ, স্থায়ী পদে যাঁরা নিয়োগ হয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই বিভিন্ন কাউন্সিলারের ছেলে, শ্যালক, বা ভাগ্নে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই অস্বচ্ছভাবে। এছাড়াও চাকরির বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকার নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা তারক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরভোটে আবাস যোজনায় কাটমানি ও পুর কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি—এই দুটি ইস্যুই আমাদের প্রধান হাতিয়ার। সবাই জানেন গত পাঁচ বছরে পুরসভায় কী হয়েছে।
তৃণমূলের নিউ বারাকপুর শহর সভাপতি সুখেন মজুমদার। তাঁর স্ত্রী তৃপ্তি মজুমদার পুরসভার চেয়ারপার্সন। প্রতিক্রিয়া জানতে সুখেনবাবুকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এমনকী এসএমএসেরও উত্তর দেননি। তাঁর স্ত্রী তথা পুরবোর্ডের চেয়ারপার্সনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘কেন? কী প্রয়োজন? এখন ব্যস্ত আছি। বিকেলের দিকে পুরসভায় আসুন।’ পাশ থেকে এক চায়ের দোকানদার জানালেন, উনি বেলা তিনটের আগে পুরসভায় আসেন না। ব্যবহারের জন্য চেম্বারে ঢুকতেও অনেকে ভয় পান।
আহারামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে প্রান্তিক পার্কে বসে কথা হচ্ছিল তৃণমূলের পুর পারিষদ প্রবীর সাহার সঙ্গে। ওই পার্কেই একটি শিবমূর্তি স্থাপনের তোড়জোড় করছিলেন তিনি। শিবরাত্রিতেই ওই মূর্তির উদ্বোধন হবে। তিনি বলেন, আবাস যোজনায় কেউ টাকা নেয়নি। অনেকের বোঝার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে। উপভোক্তাদের ২৫ হাজার করে টাকা দিতে হয়। তবেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে। অনেকেই সেই টাকাকে ‘কাটমানি’ বলে ভাবছেন। আর পুরকর্মী নিয়োগ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, কাউন্সিলারের ছেলে হলে কি পরীক্ষায় বসার অধিকার নেই? যাঁরা যোগ্য, তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। এমনকী অন্য জেলার প্রার্থীরাও চাকরি পেয়েছেন। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই স্বচ্ছভাবে হয়েছে।