রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এসটিএফর কাছে খবর ছিল মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া থেকে মাদক কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখানকার একাধিক ব্যক্তি মাদক পাচারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। মশলা বা আটার প্যাকেটে হেরোইন ভরে সিল করে নিয়ে আসা হচ্ছে। সাধারণভাবে সেগুলি দেখলে মনে হবে, তাতে মশলা বা আটা রয়েছে। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় প্যাকেজিংয়ের কাজ চলছে। মূলত মহিলাদের দিয়েই এই কাজ করানো হচ্ছে। এর আগে হেরোইন সাধারণ প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে আনা হতো। কিন্তু তা সহজে ধরা পড়ে যাওয়ায় এখন কৌশল পাল্টাছে মাদক কারবারে যুক্ত ব্যক্তিরা। কিছুদিন আগেই মশলার প্যাকেটে হেরোইন পাচার করতে দিয়ে ধরা পড়ে এক ব্যক্তি। এসটিএফের অফিসাররা জানতে পারেন, জসিমউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি এই কায়দায় মাদক নিয়ে কলকাতায় আসছে। শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে মানিকতলা এলাকায় আসবে। সেখানে এক ব্যক্তির কাছে হেরোইন পৌঁছে দেবে। সেইমতো তার সম্বন্ধে সমস্ত তথ্য জোগাড় করা হয়। এসটিএফের একটি টিম মানিকতলা চত্বরে পৌঁছে যায়। সেখানে আসামাত্রই তাকে আটক করা হয়। তার কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি আটার প্যাকেট মেলে। সেগুলি খুলতেই দেখা যায়, তার মধ্যে রাখা রয়েছে হেরোইন। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় জসিমউদ্দিনকে। ধৃতকে জেরা করে অফিসাররা জেনেছেন, এর আগেও সে হেরোইন নিয়ে কলকাতায় এসেছে। সে মূলত এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। তার সঙ্গে মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ার বিভিন্ন মাদক কারবারির যোগাযোগ রয়েছে। এখানেই হেরোইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মাদক তৈরি করা হচ্ছে। কলকাতায় ভালো পরিমাণ ক্রেতা থাকার কারণেই এই ধরনের মাদকের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। প্রাথমিকভাবে আসা তথ্য অনুযায়ী, পড়ুয়াদের মধ্যেই এই মাদকের চাহিদা বেশি। কলকাতায় কারা এই কারবার চালাচ্ছে তা জানার চেষ্টা করছেন অফিসাররা।
অন্যদিকে কলকাতায় পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগও মাদক সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে একজন মহিলা। তাদের কাছ থেকে মিলেছে ৩২২ গ্রাম হেরোইন। শনিবার তাদের ধরা হয় মধ্য কলকাতার বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট থেকে। ধৃতদের সঙ্গে নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের মাদক কারবারিদের যোগাযোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।