বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিকাশ মাজি (৪০)। তাঁর বাড়িও উত্তর সপ্তগ্রাম। গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বিকাশবাবু ছেলেকে ডাক্তার দেখিয়ে সাইকেলে উত্তর সপ্তগ্রামের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। উত্তর সপ্তগ্রাম রাস্তার উপরে দিশানী দাস এক মহিলার সঙ্গে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। ওই জায়গায় একটি বাম্পার ছিল। ওই বাম্পার পার করার সময় বিকাশবাবুর সাইকেলের হ্যান্ডেল দিশানীদেবীর গায়ে লাগে। সাইকেলের পিছনে বসা বিকাশবাবুর ছেলের পা তাঁর গায়ে লাগে। এরপর দিশানীদেবী গালাগালি দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। পাল্টা বিকাশবাবুও কিছু বলেন। ওই সময় দিশানীদেবীর স্বামী সুজয় দাস কিছুটা দূর থেকে দৌড়ে এসে বিকাশবাবুর মাথায় ঘুসি মারে। সাইকেল নিয়ে মাটিতে পড়ে যান বিকাশবাবু। এরপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বাম্পার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধৃত সুজয় বাম্পারে সুজয়বাবুর মাথা ঠুকতে শুরু করে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দৌড়ে আসেন। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিকাশবাবুকে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত ৭ তারিখ চিকিৎসারত অবস্থায় বিকাশবাবুর মৃত্যু হয়। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ওইদিন এলাকাবাসী বিক্ষোভে নেমেছিলেন। যদিও এই ঘটনার পর অভিযুক্ত দিশানী ও সুজয় এলাকা থেকে চম্পট দেয়। পুলিস মোবাইল ট্র্যাক করে শনিবার ওড়িশার গঞ্জাম এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।