পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগদা থানার রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা বাসিন্দা তথা যুব তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু মণ্ডল গ্রামের এক দ্বিতীয় বর্ষের কলেজ ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত করত। একাধিকবার ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রী ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মদ্যপ অবস্থায় শুভেন্দু তাঁর জীবন শেষ করে দেওয়ার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, শুভেন্দু মণ্ডলের স্ত্রীও ওই ছাত্রীকে নানানভাবে হেনস্তা করার পাশাপাশি হুমকি দিত বলে অভিযোগ। শনিবার ওই ছাত্রীকে শুভেন্দুর স্ত্রী মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছাত্রী নিজে বাগদা থানায় গিয়ে শুভেন্দুর নামে অভিযোগ দায়ের করে। এরপর শুভেন্দুকে বাঁচাতে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় আসরে নামে বলে অভিযোগ। গোপাদেবীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু। গোপাদেবী ছাত্রীকে ফোন করে কেস তুলে নেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিস তদন্তে নেমে শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। ওই ছাত্রী বলেন, ওই যুব সভাপতি মদ খেয়ে আমাকে ফোন করে কুপ্রস্তাব দিত। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় আমার জীবন শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিত। ওর বউ আমার নামে খারাপ কথা বলত। গতকাল ওর বউ আমাকে মারধর করে। আমি থানায় অভিযোগ করার পর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফোন করে যুব সভাপতির বিরদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়ার কথা বলেছিল।
রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল সভাপতি গৌতম মণ্ডল বলেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ও এর আগে এলাকার গৃহবধূকে ঘর থেকে বের করে বিবস্ত্র করে মারধর করে। কলেজ ছাত্রীকে নানান কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় হুমকি ও জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা বলে। এমন অপরাধীকে বাঁচাতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপাদেবী আসরে নেমেছে। তিনি ওই ছাত্রীকে কেস তুলে নেতে হুমকি দিয়েছে। এর থেকে লজ্জার ঘটনা আর কিছু নেই। আমরা দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে সমস্ত কিছু জানিয়েছি। আমি শুভেন্দুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় বলেন, মেয়েটি আমার কাছে এসে সমস্যার কথা জানিয়েছিল। ওই সময় সে শুভেন্দুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল। পরে থানায় শুভেন্দুর নামে কেস হয়েছে শোনার পর আমি ওই ছাত্রীকে ফোন করেছিলাম। আমি বলেছিলাম, আমাদের যুব তৃণমূলের সভাপতির বিরুদ্ধে তোমার যদি কোনও অভিযোগ না থাকে, তাহলে কেন তুমি কেস করেছ? ওনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলে তার নামেই কেস করতে পার। তখন ওই ছাত্রী আমায় জানায়, আমি কিছু জানি না। আমাকে চাপ দিয়ে কেস করানো হয়েছে। ধৃতকে ছাড়ানোর জন্য তদ্বির করা বা ছাত্রীকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুলিস তদন্ত করে যা সঠিক মনে করবে, তা ঠিক করবে। কেউ হয়তো চক্রান্ত করে ভুল বার্তা দিচ্ছে।