পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মৈপীঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে শাসকদলের সঙ্গে এসইউসির বিবাদ অনেকদিন ধরে চলছে। কারণ, ওই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মোট ২০টি আসনের ভিতর ১১টি পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায় এসইউসি। স্বাভাবিকভাবে শুরু থেকেই এসইউসি দলে ভাঙন ধরিয়ে পঞ্চায়েত দখলের পরিকল্পনা নেয় জোড়া ফুল শিবির। তাতে সফল হয়। এসইউসি-র ১১ জনের মধ্যে ২ জনকে টোপ দিয়ে তৃণমূল যুব শিবির টেনে নেয়। তাতে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে। এসইউসি এবার পাল্টা চাল খেলে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩টি উপসমিতি সংখ্যাগরিষ্ঠের জেরে এসইউসি দখল করে নেয়। উপসমিতিতে পঞ্চায়েতের যাবতীয় উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজের বাজেট থেকে যাবতীয় অনুমোদন নিতে হয়। সেখানে উপসমিতি এসইউসির দখলে থাকায় তৃণমূল প্রধান কোনও কাজই করতে পারছিলেন না। এ নিয়ে একাধিকবার বিবাদ থেকে মারামারি হয়েছে।
এদিকে, এসইউসি যে দু’জন সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গিয়েছিলেন। কয়েকমাস আগে তাঁরা ফের এসইউসিতে চলে আসেন। তার জেরে তৃণমূল কংগ্রেস ফের সংখ্যালঘু হয়ে যায়। ৯ জন নিয়ে একেবারে অচল অবস্থা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের। সরকারি নিয়মে পঞ্চায়েত গঠনের আড়াই বছর পর অনাস্থা আনা যাবে। সেই নিয়মে অনাস্থার চিঠি দিলেও তার সময়সীমা শেষ হতে আরও কয়েকমাস বাকি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল চাইছে, যতটা সময় হাতে রয়েছে তার মধ্যে সরকারি প্রকল্পের কাজগুলি করে নিতে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই কারণে শুক্রবার আলোচনা করার জন্য পঞ্চায়েত থেকে এসইউসি সদস্যদের ডাকা হয়। কিন্তু এসইউসির সদস্যরা তৃণমূল পঞ্চায়েতের কোনও প্রস্তাবে সায় দেননি। তাতে উভয় দলের মধ্যে মন কষাকষি আরও বেড়ে যায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তার জের শুক্রবার থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত যা চলেছে।