বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়া ও পরে মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর রুজু করেছে পুলিস। তাতে দুই সাব ইন্সপেক্টর অরিন্দম দাস ও সৌমেন্দ্রনাথ দাস এবং সার্জেন্ট চিন্ময় মোহান্তর নাম রয়েছে। এফআইআর হওয়ার পর তিন অফিসারকেই ক্লোজ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়। নিয়ম বলছে, কাউকে ক্লোজ করা হলে সংশ্লিষ্ট পুলিসকর্মী থানায় থাকতে পারেন না। তাঁকে বিভাগীয় রিজার্ভ অফিস বা ডিআরওতে থাকতে হয়। ওই বিধিনিষেধ না ওঠা পর্যন্ত থানার কোনও ফাইল বা দৈনিক কাজকর্মও দেখভাল করার অধিকার নেই সংশ্লিষ্ট পুলিস কর্মীর। সিঁথিকাণ্ডে ক্লোজ হওয়া তিন অফিসারের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম কার্যকর হওয়াটাই স্বাভাবিক। নিয়মমাফিক নর্থ ডিভিশনের ডিআরও অফিসে তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা। থানার একাংশের বক্তব্য, খাতায়-কলমে তাঁরা সেখানে যোগ দিলেও বাস্তবে তাঁরা এখনও যাননি। রাজকুমারবাবুর পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার ক্লোজ করার পরেও বুধবার সকাল থেকে তাঁদের সিঁথি থানার ভিতরে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁরা থানায় ছিলেন দীর্ঘক্ষণ। অথচ ওই থানাতেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, তা তাঁরা নষ্ট করবেন না, সেই নিশ্চয়তা কে দেবে? তাছাড়া যাঁরা থানায় এসে এই মামলার তদন্ত করছেন, এই তিন অফিসার তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টাও করতে পারেন। তাঁদের দাবি, তদন্তে রীতিমতো নাক গলাচ্ছেন এই তিন অফিসার। যাতে তাঁদের উর্দিতে কোনও আঁচড় না লাগে। পুলিসের দাবি, রাজকুমারের পরিবারের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁরা তদন্ত প্রভাবিত করছেন না। থানায় গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার থেকে শুরু করে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট গিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনেই তাঁদের থানায় থাকতে বলা হয়েছিল। জেরা শেষ হওয়ার পর তাঁরা চলে গিয়েছেন।
এদিকে টালা এলাকার যে নাইট শেল্টারে থাকেন আসুরা, সেখানে কড়া পুলিসি বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যাতে আসুরা আর কোনওভাবেই বেপাত্তা হতে না পারেন কিংবা বয়ান বদলের জন্য তাঁকে কেউ চাপ দিতে না পারেন। রাজকুমারের ছেলেদের বিরুদ্ধে আসুরার আনা অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য শুক্রবার টালা থানার তরফে শিয়ালদহ আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করে ৫০৬ ধারা অর্থাৎ ভয় দেখানোর কেস রুজু করতে বলেছে।