গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শুক্রবার বণিকসভা অ্যাসোচেম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কলকাতায় এসে আইআরডিএআইয়ের সদস্য (নন লাইফ) টিএল আলামেলু বলেন, এখন হাসপাতালগুলির খরচ বৃদ্ধির হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। নিয়মিত তারা পরিষেবা বাবদ খরচ বাড়িয়ে চলে। তাকে আটকানোর মতো কোনও ব্যবস্থা নেই। অথচ স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাগুলিকে নিয়মিত প্রিমিয়াম বাড়ানোর অনুমতি দেয় না আইআরডিএআই। এর ফলে সঙ্কট তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন ওই সদস্য। তিনি বলেন, হাসপাতালের খরচ এবং বিমার প্রিমিয়াম— এই দু’য়ের মধ্যে ভারসাম্য নেই। তাহলে উপায়? টিএল আলামেলুর বক্তব্য, জেনারেল ইনসিওরেন্স কাউন্সিল এবং থার্ড পার্টি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা টিপিএ সংস্থাগুলির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ছানি অপারেশন, হিস্টেকটমি বা ইউটেরাসের অস্ত্রোপচারের মতো সাধারণ চিকিৎসাগুলির খরচকে একটি মাত্রায় বেঁধে রাখা যায় কি না, তা নিয়ে কথাবার্তা এগিয়েছে বলে জানান আইআরডিএআইয়ের ওই সদস্য। তবে তা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে সন্দেহ যে থেকেই যাচ্ছে, তার ইঙ্গিত রয়েছে তাঁর কথাতেই। তিনি বলেন, কাজটি করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের এবং সময় সাপেক্ষ।
কোন টিপিএ সংস্থার পরিষেবা নেওয়া যাবে, তা ঠিক করে স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাগুলি। সাধারণ গ্রাহক এই ব্যাপারে স্বাধীনতা পান না। কিন্তু তাঁরাও যাতে টিপিএ সংস্থা পছন্দ করার সুযোগ পান, তার জন্য পদক্ষেপ করতে চলেছে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমনটাই জানিয়েছেন টিএল আলামেলু। স্বাস্থ্য বিমা সংস্থার বিরুদ্ধে অনেক ক্ষেত্রেই হরেক অভিযোগ থাকে সাধারণ গ্রাহকের। সেই অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি ফোরাম গড়তে চায় আইআরডিএআই। জানা গিয়েছে, সেখানে সাধারণ গ্রাহক অভিযোগ জানাবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে তাঁদের অভিযোগের সুরাহার ব্যবস্থা করা যায়, তা দেখা হবে।
সাম্প্রতিককালে স্বাস্থ্য বিমার বাজার ভালো যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন টিএল আলামেলু। তিনি বলেন, ২০০৬-০৭ অর্থবর্ষে যেখানে দেশের মোট স্বাস্থ্য বিমা খাতে প্রিমিয়াম জমা হয়েছিল ৩ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে মোট প্রিমিয়ামের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা।