কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আমিনুল হক পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দেবে বলে টাকা নিয়ে তাঁকে ঠকিয়েছেন এক প্রতারক। তিনি একা নন, তাঁর এক বন্ধুও এই চক্রের পাল্লায় পড়ে টাকা খুইয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে রাজাবাগান থানার পুলিস জালিয়াতি, প্রতারণা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। যে মোবাইল নম্বর থেকে অভিযোগকারীকে ফোন করা হয়, সেই নম্বরও জোগাড় করা হয়। তার সূত্র ধরে বন্দর এলাকার বাসিন্দা শেখ রওসন নামে এক যুবককে চিহ্নিত করা হয়। জানা যায়, সে নিজেকে সেনা অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সেনাবাহিনীতে জওয়ানের চাকরি করে দেবে বলে বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তার খোঁজ শুরু হয়। শুক্রবার পুলিসের কাছে খবর আসে, সে ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকায় রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হানা দিয়ে পুলিস ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
অভিযুক্ত জেরায় পুলিসকে জানিয়েছে, অনেকদিন ধরেই সে এই ব্যবসা চালাচ্ছে। তবে সে শুধু একা নয়, তার সঙ্গে আরও অনেকে রয়েছে। রীতিমতো চক্র গড়ে এই প্রতারণা ব্যবসা চালানো হচ্ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিস। সেনাবাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দেবে বলে বিভিন্ন জায়গায় তারা প্রচার করত। তাদের সঙ্গে যে বেকার যুবকরা যোগাযোগ করত, তাঁদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিত। তাদের কথায় আশ্বস্ত হয়ে অনেকেই টাকা দিতেন। ধাপে ধাপে টাকা নেওয়া হতো। মাঠে নিয়ে গিয়ে দৌড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হতো। এরপর চাকরিপ্রার্থীদের দেওয়া হতো ভুয়ো নিয়োগপত্র। তাতে সেনাবাহিনীর বড় অফিসারের সই ও স্ট্যাম্প থাকত। যা জাল বলে জানা গিয়েছে। মূলত জেলার বেকার যুবকদের তারা টার্গেট করেছিল। ওই ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে অনেকেই বুঝতে পারেন, প্রতারকদের পাল্লায় পড়েছেন। চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ চলছে।