রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বিয়ে করার জন্য তিনি মা-বাবাকে নিয়ে চলে আসেন তুষার সিংলার অফিসে। ম্যারেজ রেজিস্ট্রারকে ডেকে অফিসের কয়েকজন কর্মচারী এবং দুই পরিবারের সদস্যদের সাক্ষী রেখে বিয়েটা সেরে ফেললেন মহকুমা শাসক। জানিয়ে দিলেন রিসেপশন বা অতিথিদের প্রীতিভোজ পরে কোনও ছুটির দিন দেখে হবে। কিন্তু, ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে বিয়ে করে নেওয়ার এমন সুযোগ ছাড়তে চাননি তাঁরা। এমন অভিনব ঘটনায় শুক্রবার রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে। এখানে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিট নাগাদ আইনি পদ্ধতি মেনে তাঁদের পরিণয় সম্পন্ন হয়। পাত্র ছিলেন অফিসেরই সাজপোশাকে। সাদা জামার উপর কালো কোট
এবং প্যান্ট। পাত্রী পরেছিলেন
উজ্জ্বল রঙের ঝলমলে শাড়ি। কর্মচারীরা কয়েকজন ছাড়া
উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের অভিভাবকরা। এসেছিলেন মহকুমা শাসকের মা কিরণ সিংলা, পাত্রীর বাবা হংসরাজ এবং মা দলবীর কৌর। এসেছিলেন পাত্রীর জামাইবাবু বিশাল গোয়েল। নব পরিণীতা আইপিএস অফিসারকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তাহলে কবে থেকে এ রাজ্যে চলে আসছেন? নববধূর মতোই সলাজ ভঙ্গিতে মাথা নামিয়ে মন্তব্য এড়িয়েছেন সিমি। তবে দুই পরিবারের সদস্যরা দৃশ্যতই খুশি।
তুষার সিংলার মা বলেন, এমন একটি দিনে ওরা বিয়ে করল, এটা ভেবেও ভালো লাগছে। স্থানীয় ম্যারেজ রেজিস্ট্রার গৌতম মল্লিক তাঁদের বিয়ে দেন। তিনি জানান, প্রায় চার হাজার বিয়ের রেজিস্ট্রি করেছেন তিনি। তবে ভ্যালেন্টাইন্স ডের দিনে এমন মাপের ভিআইপিদের বিয়ে এই প্রথম দিতে পারলেন তিনি।