কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্ত দাসের সঙ্গে বছর বারো আগে বিয়ে হয় পূর্ণিমার। তিন সন্তান তাঁদের। তবে কিছুদিন পরই দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এরপর পূর্ণিমা নিজের বাড়িতে ছোট ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন। স্বামী বড়ছেলেকে নিয়ে অন্যত্র থাকতেন। প্রতিবেশী মিনতি দাসের বক্তব্য, আলাদা থাকলেও প্রায়ই পূর্ণিমার কাছে আসতেন জয়ন্ত। কারণে-অকারণে মারধরও করতেন। স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন প্রথম থেকেই। পাড়ার কোনও যুবকের সঙ্গে কথা বলতে দেখলে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতেন।
এদিকে, একা থাকতে থাকতে এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই তরুণী। দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। স্বামী অত্যাচার করত বলে এই সম্পর্কে বাধা দেয়নি পূর্ণিমার পরিবার। মাসখানেক আগে বিষয়টি জানতে পারেন জয়ন্ত। সপ্তাহখানেক আগে পূর্ণিমার বাড়িতে এসে শাসিয়ে যান, এই সম্পর্ক তিনি মেনে নেবেন না। অ্যাসিড হামলা চালাবেন। পূর্ণিমা যে ছোট ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যান, তা জানতেন জয়ন্ত। ঠিক করেন, রাস্তাতেই অ্যাসিড হামলা চালাবেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার ১১টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় স্কুলের সামনে পৌঁছে অপেক্ষা করছিলেন। এদিন স্কুলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থাকায় ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ স্কুলে আসেন পূর্ণিমা। প্রত্যক্ষদর্শী পিঙ্কি পাত্রের কথায়, তিনি এবং আরও কয়েকজন অভিভাবিকা স্কুলের সামনে সন্তানদের নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। উল্টো দিকে ছেলেকে নিয়ে ফোনে কথা বলছিলেন পূর্ণিমা। জয়ন্ত এসে বলতে শুরু করেন, কেন তাঁর ফোন ধরছেন না স্ত্রী। এরপরই জামার নীচে লুকিয়ে রাখা স্ক্রু ড্রাইভার বের করে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করতে শুরু করেন। এরপর মদের বোতলে থাকা অ্যাসিড পূর্ণিমার ঘাড়ে ও কাঁধে ঢেলে দেন। স্ত্রী পালানোর চেষ্টা করলে অ্যাসিড একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে ঢেলে তাঁকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে দেন। এতে পূর্ণিমা সহ আরও তিন অভিভাবিকা আহত হন। এলাকায় ভিড় জমে যায়। স্কুলের সামনে থাকা অভিভাবিকাদের বক্তব্য, সেখানে তখন একাধিক পড়ুয়া দাঁড়িয়ে ছিল। যেভাবে অ্যাসিড ছোঁড়া হয়, তাতে তারাও আহত হতে পারত। ভিড় কাটিয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁকে ধরে মারধর করে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।