বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত দু’বছর ধরে এমন স্টল দিয়েছে আইআইটি খড়্গপুর। উদ্দেশ্য এই ডিজিটাল লাইব্রেরিকে আরও বেশি প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা। তার সুফলও পেয়েছে তারা। কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য বলছে, গতবারের মেলায় এই পোর্টালে ৪৫ হাজার পাঠক নাম লিখিয়ে ছিলেন। এবার শুক্রবার পর্যন্ত ৪২ হাজার ৬০০ জন ইতিমধ্যে পোর্টালে নিজের নাম রেজিস্টার করিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, যাঁরা এই পোর্টালে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁরা একেবারে বিনামূল্যে বেশিরভাগ নথিই দেখতে এবং পড়তে পারবেন। এক ক্লিকেই যে কোনও প্রান্ত থেকেই এই ডিজিটাল লাইব্রেরি ব্যবহার করা যাবে।
কৌতূহলি পাঠকরা এই স্টলে এসে বিষয়টি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কীভাবে নাম নথিভুক্ত করতে হবে, কী কী বই দেখা যাবে ইত্যাদি। পোর্টালে কী কী বই, জার্নাল ইত্যাদি আছে, তা স্টলের ভিতরে নির্যাস করে ছবি আকারে সাঁটানো হয়েছে। এসবের থেকেই সবারই একটা ধারণা হয়ে হবে। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অফিসার জয়িতা মজুমদার বলেন, ৩০০টির মতো ভাষায় বই মিলবে এই লাইব্রেরিতে। বাংলা, হিন্দি কিংবা উর্দু ভাষার বই থাকলেও, অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার বইয়ের সংখ্যা কম।
এই স্টলে যাঁরা আসছেন, ইচ্ছুক ব্যক্তিদের হাতে ধরে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিচ্ছেন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। এই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে ২৭০টি প্রতিষ্ঠানের বই, জার্নাল, গবেষণাপত্র ইত্যাদি আছে। এর মধ্যে আইআইটি, এনআইটি যেমন আছে, তেমনই প্রকাশনা সংস্থাদের অবদানও আছে। শুধু তাই নয়, ১৬টি স্কুল বোর্ডের পাঠ্যপুস্তকও রয়েছে। যে যেমন চাইবে এই সব পড়তে পারবেন। এই প্রকল্পের আরেক অফিসার অনিন্দ্য মিত্রের কথায়, এই পোর্টালে এমন সব সংগৃহীত বই, নথি আছে, যা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। তার মধ্যে যেমন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংসদের কিছু বই, নথি রয়েছে। সর্বভারতীয় জয়েন্টের প্রস্তুতির জন্য আমরা ১০ বছরের প্রশ্নোত্তর তৈরি করেছি। যার মাধ্যমে পড়ুয়ারা নিজেদের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
এদিকে আগামীকাল রবিবার শেষ হচ্ছে বইমেলা। শুক্রবারে বইমেলায় মানুষের ভিড় ছিল নজরে পড়ার মতো। এদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। আগের দিনের বৃষ্টি থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন গিল্ড অফিস থেকে অনবরত জানানো হয়, প্রত্যেক প্রকাশনা সংস্থা যেন তাদের বই সুরক্ষিত করে রাখার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়। বৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই এদিন বহু প্রকাশককেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়। অনেকেই বই ঢাকা দেওয়ার প্ল্যাস্টিক সংগ্রহে রেখেছিলেন।
এদিন দেখা গেল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নাগরিকত্ব আতঙ্ক’ নামক বইটির চাহিদা তুঙ্গে। মঙ্গলবারই এই বই প্রকাশিত হয়েছে। দে’জ পাবলিশিংয়ে সেদিনই সব বই বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে জানান সেই প্রকাশনা সংস্থার স্টলের এক কর্মী। অন্যদিকে, সুমন গুপ্তের ‘কেদার বদ্রীর মহাতীর্থ পথে’ নামক বইও মেলায় প্রকাশিত হয়েছে।