কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তবে খুব শীঘ্রই শিশুকন্যা খুনের প্রকৃত কারণ জানতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার লালবাজারে জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান। এদিন দুপুরে রাজ্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল বেলেঘাটার বহুতল ঘুরে দেখেন। ওই প্রতিনিধি দলটি ম্যানহোলের পাশাপাশি ফ্ল্যাট থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তবে তাঁদের প্রাথমিক মতামত জানা যায়নি।
অন্যদিকে, বেলেঘাটায় শিশুকন্যা খুনের ঘটনায় বিতর্কে জড়াল কলকাতা পুলিস। সাধারণতন্ত্র দিবসের দুপুর থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত পৌনে দশটা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত তথা শিশুটির মা সন্ধ্যা মালোকে। আর এখানেই বিতর্কের সূত্রপাত। ভারতীয় ফৌজদারি আইনে সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয়—এই মধ্যবর্তী সময়ে পুলিস কোনও মহিলাকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। মহিলাদের জন্য ফৌজদারি আইনে এই সুরক্ষা কবচ রয়েছে।
কিন্তু জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতিতে পুলিস চাইলে রাতের বেলাতেই একজন মহিলাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। তবে তার আগে প্রথম শ্রেণীর একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আগাম অনুমতি নিতে হয়। সূত্রের খবর, বেলেঘাটা কাণ্ডে এই অনুমতি নেয়নি কলকাতা পুলিস। পুলিসের যুক্তি, সাধারণতন্ত্র দিবসের রাতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এই বিতর্কিত গ্রেপ্তারি নিয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে বেলেঘাটার অপরাধটা সাংঘাতিক। কোন পরিস্থিতিতে পুলিসকে গ্রেপ্তার করতে হয়েছে, সেটা দেখতে হবে। তবে পুলিস আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করে থাকলে সেটা ঠিক হয়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেব।
এই বিতর্কিত গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, পুলিসের উচিত ছিল ম্যাজিস্ট্রেটের আগাম অনুমতি নেওয়া। কিন্তু বেলেঘাটা থানা গ্রেপ্তার পরবর্তী সময়ে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়েছে। তবুও এই ইস্যুতে ‘এনকোয়ারি’ চলবে। আমরা বেলেঘাটা থানাকে সতর্ক করছি। যাতে ভবিষ্যতি এমন না হয়।