পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতারক চক্রের পাণ্ডা শুভজিৎ চৌধুরী কয়েকজন বেকার যুবককে ২৭ তারিখ ডেকে পাঠায় ফেয়ারলি প্লেসে পূর্ব রেলওয়ে দপ্তরে। বলা হয়, এখানে তাঁদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। সেখানে শুভজিৎ ছাড়াও আর পাঁচ প্রতারক ছিল। মূল অভিযুক্ত রেলের বড় অফিসার সেজে একটি গাড়িতে অপেক্ষা করছিল। চাকরিপ্রার্থীরা আসার সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি থেকে নেমে একটি ঘরে ঢুকে ইন্টারভিউ নিতে শুরু করে সে। কিন্তু তার ধরন দেখে সেখানে আসা করাই যোগেশ নামে এক যুবকের সন্দেহ হয়। তিনি বাইরে বেরিয়ে এসে ফোন করে পুলিস ডাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস। আটক করা হয় ছয়জনকে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা জানতে পারে, রেলের কোনও ইন্টারভিউ ফেয়ারলি প্লেসের অফিসে চলছে না। তখনই পুলিস নিশ্চিত হয় যে, প্রতারণাচক্র চালাচ্ছে আটক ব্যক্তিরা। করাই যোগেশের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস প্রতারণা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
ধৃতদের জেরা করে জানা যাচ্ছে, রেল, স্কুল, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের চাকরি দেওয়ার জন্য তারা একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট খোলে। সেখানে কোথায় কোথায় লোক নিয়োগ করা হচ্ছে, তার বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার নকল এমব্লেম ব্যবহার করত অভিযুক্তরা। যোগাযোগ করার জন্য মেল আইডি ও ফোন নম্বর দেওয়া থাকত। তা দেখে চাকরি প্রার্থীদের অনেকেই যোগাযোগ করতেন। তাঁদের বলা হত, অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে। এরপর বিভিন্ন পরীক্ষার মার্কশিটের ফটোকপি সংগ্রহ করা হতো। তারপর মেল করে চাকরিপ্রার্থীদের ডেকে পাঠানো হতো ইন্টারভিউয়ের জন্য। মূল অভিযুক্ত শুভজিৎ বড় অফিসার সাজত। তার শাগরেদরা ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্য হত। এমনকী গাড়ি নিয়েই সমস্ত জায়গায় যেত অভিযুক্ত শুভজিৎ। ইন্টারভিউ শেষে মেল করেই ভুয়ো নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হত। শেষে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে বেকার যুবক-যুবতীরা জানতে পারতেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, এক বছর ধরে প্রতারণা ব্যবসা চালাচ্ছিল এই চক্র। একেকজনের কাছ থেকে ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা নেওয়া হত। চাকরি প্রার্থীদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ঢুকেই ইন্টারভিউ পর্ব চলত।