বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সেলফির হুড়োহুড়িতে খানিক বিরক্তিও প্রকাশ করতে দেখা গেল কয়েকজন শিল্পীকে। বনমালি সরকার স্ট্রিটে শিল্পী শম্ভু পালের স্টুডিওয় তিন তরুণী মোবাইলে নানা কায়দায় ছবি তুলছিলেন সরস্বতীর। এক সময় বিরক্ত হয়ে ওই শিল্পী বলে উঠলেন, এখন যান, আমাদের এখন নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। একথা শোনার পর আর দাঁড়াননি ওই তরুণীরা।
কুমোরটুলি স্ট্রিটে মায়ের সঙ্গে সরস্বতী প্রতিমা কিনতে এসেছিল চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র রাজতুল্য মিত্র। শ্যামবাজার ফড়িয়াপুকুরের শিবদাস ভাদুড়ি স্ট্রিটের বাসিন্দা ওই ছাত্র বলল, বাড়িতে গিয়েই সাজাতে হবে, অনেক কাজ বাকি। কাঁকুড়গাছির ধনদেবী খান্না রোডের বাসিন্দা অনার্সের ছাত্রী অন্তরা সরকার বললেন, সরস্বতী পুজোর জন্য আমি সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। বড় মাপের একটি আর্টের প্রতিমা নিয়েছেন তিনি। কুলিরাই তা ম্যাটাডরে তুলছিলেন। তিনি তাঁদের বলছিলেন, দেখবেন, তুলতে গিয়ে যেন প্রতিমার কোনও ক্ষতি না হয়। শিল্পী সনাতন পালের ঘরের সামনে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন কাশীপুরের রতনবাবু রোডের বাসিন্দা সঞ্জয় পাল। তিনি বললেন, গতবার ১০ ফুটের প্রতিমা কিনলেও এবার দামের ঠেলায় ছোট প্রতিমায় কিনতে হচ্ছে। পাইকপাড়ার তপন সাঁতরা মেয়ের আব্দার রাখতে এসেছিলেন কুমোরটুলিতে। আশা ছিল, বড় মাপের ঠাকুর কেনার। কিন্তু তাঁরও অবস্থা সঞ্জয়বাবুর মতো। শেষ পর্যন্ত তাঁকেও তুলনায় ছোট প্রতিমা নিয়ে ফিরতে হল।
গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার দাম অনেকটাই বেশি। মৃৎশিল্পী রমা পাল, জবা পালদের কথায়, প্রতিমা তৈরির প্রতিটি সরঞ্জামের দাম বেড়েছে। ফলে প্রতিমার দাম বাড়ানো ছাড়া আমাদের অন্য কোনও পথ খোলা নেই। গত বছর যে প্রতিমার দাম দু’ হাজার টাকা ছিল, এবার সেই প্রতিমাই আড়াই হাজার টাকার নীচে বিক্রি করা যাচ্ছে না। ছোট প্রতিমার দামও বেড়েছে। পাঁচশো টাকার ছোট প্রতিমার দাম বেড়ে হয়েছে ছ’শো টাকা। গতবারের হাজার টাকার প্রতিমা এবার বিকিয়েছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায়।