পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নাবালিকার বাড়ি সোনারপুর থানার বনহুগলি-২এর জয়কৃষ্ণপুরের চিয়ারি মালপাড়াতে। গত ২০০৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঘরের সামনে উঠোনে বসেছিল ১২ বছরের ওই নাবালিকা। সেই সময় তার পিসতুতো দাদা সাবির আলি লস্কর ঘুরতে যাওয়ার নাম করে বোনকে ডাকে। তখন রান্নাঘরে তার মা কাজ করছিলেন। তবে দাদা ডেকে নিয়ে যাওয়ায় তিনি কোনও আপত্তি করেননি। দু’ঘণ্টা পর মেয়ে ফিরে না আসায়, পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু, কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত জলে ডুবে গিয়েছে সন্দেহে পুকুরে জাল ফেলা হয়। তাতেও লাভ হয়নি। টানা দু’দিন খোঁজ করেও নাবালিকার কোনও সন্ধান না পাওয়ায় পুলিসও ধন্দে পড়ে যায়। তৃতীয় দিন নাবালিকার মামা খুঁজতে বেরলে এ ব্যাপারে সহযোগিতার আগ্রহ দেখায় সাবির আলি লস্কর ও তার ভাই পালান আলি লস্কর। তাদের সঙ্গে গিয়েই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পেয়ারাবাগান সংলগ্ন জলাশয়ের মধ্যে দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। গলায় ফাঁসের চিহ্ন।
প্রথম থেকেই সাবির আলিকে সন্দেহ করেছিলেন নাবালিকার মা। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, একমাস ধরে সাবির-পালানরা নাবালিকাকে উত্যক্ত করছিল। তার উপর দেহটি উদ্ধারের ব্যাপারে হঠাৎ সাবিরের আগ্রহ তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও তীব্র করে। এরপর সাবিরের ঘরে তল্লাশি চালায় পুলিস। সেখান থেকে পাওয়া যায় নাবালিকার কানের দুল। এর আগে বাগানের মধ্যে তার জুতো পাওয়া গিয়েছিল। সাবিরকে ধরে জেরা করতেই বোনকে অপহরণ করে বাগানে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য বোনকে শ্বাসরোধ করে জলাশয়ে ফেলে দেওয়ার কথাও জানায়। ওই ঘটনায় তার এক ভাই পালান যুক্ত বলেও স্বীকার করে। সরকারি আইনজীবী তপনবাবু বলেন, সোমবার সাবির ও পালানকে দোষী ঘোষণা করেছিলেন অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক। এদিন ফাঁসি ঘোষণা হল।