কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রতিবেশীর শিশুকন্যার সঙ্গে দেখা হতে প্রায় ৪৭ বছর বয়সি দেবু লজেন্স দিয়েছিলেন। মেয়ে লজেন্স নিয়ে বাড়ি ফিরতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মেয়েটির মা। কেন নিয়েছিস, কে দিয়েছে, মেয়ের দিকে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে খানিক বকাবকি করে জানতে পারেন, লজেন্সদাতার নাম দেবু। খানিক পরেই তিনি দেবুর বাড়িতে চড়াও হন। তাঁর মেয়ে স্নায়ুরোগে ভুগছে ও চিকিৎসা চলছে। তা জানা সত্ত্বেও কেন সে লজেন্স দিয়েছে, এই প্রশ্নে তিনি গলা চড়ান। পাল্টা তোপ দাগেন দেবু’র স্ত্রী। দুই মহিলার এমন বাগযুদ্ধের মাঝে দেবু খানিক হতবাক থাকার পর কোনওমতে ঝগড়া থামিয়ে শিশুটির মাকে বাড়ি থেকে বার করে দিতে সমর্থ হন।
২০১৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দেবু গ্রেপ্তার হন। মাত্র তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করে চার্জশিট পেশ হয়। মামলার রায়ও ২ মে ঘোষিত হয়ে যায়। কৃষ্ণনগর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পকসো আইন অনুযায়ী ধৃতকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু, জামিন পাননি। তাঁর আইনজীবী প্রবীর মজুমদার এদিনের শুনানিতে আদালতকে জানান, সেদিন দুই বাড়ির উত্তপ্ত বাগযুদ্ধের পর মেয়ের মা তাহেরপুর থানায় যান। সব ঘটনা উল্লেখ করার পর পুলিস অভিমত দেয়, এর ফলে দেবু’র সাজা হবে না। তবে তিনি যদি চান, তাহলে সেইমতো ব্যবস্থা করা যাবে। সেই সূত্রে একটি বালককে ডেকে এনে বলানো হয়, লজেন্স দেওয়ার নাম করে ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেবু মেয়েটির গোপনাঙ্গে হাত দেয়। যা সে দেখেছে। আসামি পক্ষের এই সওয়াল যুক্তিগ্রাহ্য ও গ্রহণযোগ্য মনে করায় হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দেবুকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।