সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
ঘটনাটি কী ঘটেছিল? সংশ্লিষ্ট অভিজাত আবাসনের চারতলায় বসবাস করেন বৃদ্ধা মীনাক্ষি সরকার। তাঁর স্বামী সত্যবিকাশ সরকার অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। তিনি এদিন বাড়িতে ছিলেন। দুপুর দেড়টা-দু’টো নাগাদ দু’জন ওই আবাসনে আসে। নিরাপত্তা রক্ষী তাদের আটকালে তারা বলে, জল সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ এসেছিল। তারা কলকাতা পুরসভা থেকে এসেছে। জলের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি, কী সমস্যা হয়েছে, তা দেখা হবে। নিরাপত্তা রক্ষী এরপরই তাদের ছেড়ে দেন। ওই দু’জন মীনাক্ষিদেবীর ফ্ল্যাটে যান। কলিং বেল দিতেই ওই বৃদ্ধা দরজা খোলেন। ওই দু’জন কলকাতা পুরসভার তরফে এসেছে বলে দাবি করে ঘরের ভিতরে ঢুকে যায় এবং স্বমূর্তি ধারণ করে। বালিশের কভার দিয়ে ওই বৃদ্ধার মুখ বেঁধে দেয় অভিযুক্তরা। তারপর ধারালো অস্ত্র বের করে বৃদ্ধাকে তারা বলে, চিৎকার করলে গলা কেটে খুন করে দেওয়া হবে। যা শুনে বৃদ্ধা আর চিৎকার করার সাহস দেখাননি। বৃদ্ধার কাছ থেকে ওই দু’জন প্রথমে আলমারির চাবি চায়। বৃদ্ধা তা দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই গলায় ছুরি ঠেকিয়ে তারা চাবি আদায় করে নেয়। আলমারি খুলে কয়েক ভরি সোনার গয়না, নগদ ছ’-সাত হাজার টাকা এবং কিছু ইমিটেশনের গয়নাও তারা নিয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ার পর ওই বৃদ্ধা কোনওভাবে মুখের বাঁধন খুলে ওই আবাসনেরই অন্য ফ্ল্যাটে থাকা তাঁর ছেলেকে খবর দেন। তিনি ছুটে আসেন। এরপরই আনন্দপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। বললেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দরজা ঠেলে ওই দু’জন ঢুকে আসে। তারপরই তাঁকে বেঁধে ছুরি বের করে ভয় দেখাতে থাকে। তদন্তকারীদের কথায়, ওই ফ্ল্যাটে যে জলের সমস্যা রয়েছে, তা অভিযুক্তরা জানত। এমনকী, ওই বৃদ্ধা যে ফ্ল্যাটে একা রয়েছেন, তাও অভিযুক্তরা জানত বলেই মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পিছনে পরিচিতদের হাত রয়েছে বলেও মনে করছেন কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা।