পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ ও সহ উপাচার্য গৌতম পালের সংঘাত নতুন কিছু নয়। সূত্রের খবর, সমান্তরাল প্রশাসন চালাতে চাইছেন সহ উপাচার্য। তার জেরেই দুই প্রশাসনিক কর্তার সংঘাত। একটি অভিযোগ পেয়ে রেজিস্টার দেবাংশু রায়কে গত ১৭ জানুয়ারি ছুটিতে পাঠিয়েছিলেন উপাচার্য। ২১ জানুয়ারি সহ উপাচার্য দেবাংশুবাবুকে পুনর্বহালের নির্দেশিকা জারি করেন। যা নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট হন উপাচার্য। গত শুক্রবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রকাশ্যে উপাচার্য ও সহ উপাচার্যের বাতবিতণ্ডা হয়। নজিরবিহীন এই ঘটনা দেখে সকলে হতবাক হয়ে যান। কথা কাটাকাটির পর সহ উপচার্য প্রশাসনিক ভবনে অবস্থানে বসেন। পরে তিনি ‘অসুস্থ’ হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিনই তাঁকে চিকিৎসকরা হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেন।
সহ উপচার্যের পক্ষ নিয়ে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলনে নামার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু যতটা গর্জন ছিল, ততটা বর্ষণ হল না। এদিন সকাল ১১টা থেকে উপাচার্যের ঘরের সামনে নামমাত্র কয়েকজন অধ্যাপক, অধ্যাপিকা অবস্থানে বসেন। দুপুরে ‘শিক্ষাবন্ধু’ নামে একটি সংগঠনের তরফে মিছিল হয়। তাতেও উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। ছাত্র-ছাত্রীরা কেউ পথে নামেনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উপাচার্যের পক্ষেই সিংহভাগ অধ্যাপক, অধ্যাপিকা। কারণ সহ উপাচার্য এক্তিয়ারের বাইরে কাজ করেছেন। উপাচার্য একটি নির্দেশিকা জারি করার পর, সেই নির্দেশিকাকে পরিবর্তন করতে পারেন না সহ উপাচার্য। ২১ জানুয়ারি চিঠি ইস্যু করেছেন সহ উপাচার্য। ওই দিন উপাচার্য ছুটিতে ছিলেন না।
সহ উপাচার্যের নির্দেশিকা পেয়ে দেবাংশু রায় রেজিস্টার পদে ফের কাজে যোগ দিয়েছেন। আবার উপাচার্য দেবাংশুবাবুর পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার হিসেবে কাজে যোগ দিতে নির্দেশিকা দিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র সরকারকে। বর্তমানে দু’জনেই কাজ করছেন। তবে উপচার্যের টেবিলে সুভাষবাবুরই সই করা ফাইল যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা দোলাচলে পড়েছেন। কোন রেজিস্টারের টেবিলে ফাইল পাঠাবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না! সূত্রের খবর, উপাচার্য ও সহ উপাচার্যের সংঘাত না মিটলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী দিনে অচলাবস্থা হতে পারে। এই সংঘাত নিরসনে উচ্চ শিক্ষাদপ্তরের হস্তক্ষেপ জরুরি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য গৌতম পালকে ফোন করা হলে, ‘হ্যালো’ বলেই কেটে দিয়েছেন। পরে আর তিনি ফোন ধরেননি। উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন পাঠন, পরীক্ষা গ্রহণ সব স্বাভাবিক রয়েছে। ৫-৭ জন মাত্র অবস্থানে বসেছিলেন। প্রশাসনিক কাজে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি।