সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী টাকি গার্লস হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাড়ি হাসনাবাদের হারিপুর কামারডাঙা হলেও সে ছোট থেকে ঢোলতুকারি গ্রামের মামার বাড়িতে থাকে। ছাত্রীর বাবা পেশায় দিনমজুর। ভালো পড়াশুনা করার জন্য রেশন ডিলার দাদুর কাছে ছোট থেকেই মুস্কানকে রেখে গিয়েছিল পরিবারের লোকেরা। অন্যান্য দিনের মতো গত বুধবার সন্ধ্যায় সে সহপাঠীদের সঙ্গে মামাবাড়ির অদূরে টিউশন পড়তে যায়। অভিযোগ, টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিবেশী যুবক হাসান সর্দার তার পথ আটকায়। এরপর ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কোনওমতে মুস্কান বাড়ি ফিরে আসে। এরপর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওই রাতে তাকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে বসিরহাট জেলা হাসপাতাল ও পরে কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার বিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রবিবার ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ এলাকায় ফিরতেই কান্নার রোল ওঠে। রবিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃত ছাত্রীর পরিবার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এই ঘটনার পর থেকেই পরিবার নিয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছে অভিযুক্ত। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিস জেনেছে, ছাত্রীর সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযুক্ত হাসান সহ পাড়ার বেশ কয়েকজন যুবক বিষয়টি জেনে যায়। এরপর কয়েক জন যুবক ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে কুপ্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। ওই দিন রাতে টিউশন থেকে ফেরার সময় প্রেমিক যুবকের সঙ্গে অন্ধকারে গল্প করছিল ওই ছাত্রী। হাসান প্রতিবেশীদের ডেকে বিষয়টি জানায়। এমনকি সুযোগ বুঝে হাসানও ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অপমানিত বোধ করে ছাত্রী আত্মঘাতী হওয়ার জন্য বিষ খায়।