বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বেলঘরিয়ার হরিদাস বেকারি রোডের বাসিন্দা অনির্বাণ সেন। পেশায় তিনি মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ। ২৮ বছর বয়সি এই যুবকের গত জুন মাসে পোয়েমস সিনড্রোম রোগ ধরা পড়ে ভেলোরে। এই রোগ জটিলতর ব্লাড ক্যান্সার। যা মানুষের স্নায়ুতন্ত্রকে পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। চিকিৎসায় ব্যয়বহুলতার কারণে ভেলোর থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় অনির্বাণকে। গত সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর রেডিয়েশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এই মুহূর্তে কেমো প্রক্রিয়া চলছে। ৩১ জানুয়ারি শেষ কেমো দেওয়া হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি ভেলোরে হবে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনেই খরচ ৮ লক্ষ টাকা। তারপর দেড় বছর ধরে চলবে কেমো। প্রতি সপ্তাহে কেমোর জন্য খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা।
অনির্বাণের বাবা অশোককুমার সেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। পেনশন পান মাত্র ১২ হাজার টাকা। তিনিও অসুস্থতায় ভুগছেন। মা বাণীদেবী প্রয়াত হয়েছেন। অনির্বাণ রেজিস্ট্রি বিয়ে করেছেন তৃষা মুখোপাধ্যায়কে। তিনিও একজন মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ। মাইনে পান মাসিক ১৫ হাজার টাকা। আনুষ্ঠানিক বিয়ে না হলেও স্বামী অনির্বাণের যাবতীয় ভার নিয়েছেন তৃষা। স্বামীর চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে সহৃদয়বান অনেকেই এগিয়ে এলেও মাত্র ৫০ হাজার টাকা উঠে এসেছে।
সরকারি আর্থিক অনুদান সাহায্য চেয়ে তৃষা আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালের হেল্থ রিলিফ তহবিল বিভাগে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরল রোগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী তহবিল থেকে দুই লক্ষ টাকা, রাজ্যপালের তহবিল থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান মেলে। গত অক্টোবর মাসেই সমস্ত কাগজপত্র সহ আবেদন করেছেন অনির্বাণের স্ত্রী। কিন্তু, কোনও উত্তর আসেনি। তৃষাদেবী বলেন, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালের হেল্থ রিলিফ বিভাগে বারবার দরবার করেছি। জানতে পারছি, প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যপালের হেল্থ রিলিফ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা বন্ধ রয়েছে। এখন আমি অথৈ জলে পড়েছি। সামনেই স্বামীর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন রয়েছে। এর জন্য ৮ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তা জোগাড় না করতে পারলে প্রতিস্থাপন হবে না।