পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দুবাই বা চীন থেকে চোরাপথে অনেক দিন ধরেই কলকাতায় সোনা আনা হয়। কখনও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে, কখনও মায়ানমার হয়ে তা ভারতে আসে। সীমান্তের ওপার থেকে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকা দিয়ে কলকাতায় আসছে সেই সোনা। আবার মায়ানমার থেকে চোরাপথে আসা সোনা শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতায় ঢুকছে। বড়বাজারের একাধিক জায়গায় মজুতভাণ্ডার গড়ে তুলেছে চোরাকারবারিরা। এভাবে সোনার আমদানি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে ডিআরআই। অক্টোবর মাসে তারা কলকাতা থেকে তিন কেজি চোরাই সোনা উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে জানা যায়, সোনা পাচারকারীরা ঘনঘন কৌশল বদলাচ্ছে। কলকাতায় চোরাই সোনা নিয়ে আসার পর তড়িঘড়ি তা গলিয়ে ফেলা হচ্ছে। যাতে কোন দেশ থেকে তা আনা হয়েছে, বোঝা না যায়। সোনা গলিয়ে তৈরি হয় কয়েন। তা যায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের একাংশের কাছে।
সূত্র খুঁজতে গিয়ে ডিআরআইয়ের অফিসাররা জানতে পারেন, বড়বাজারে এই চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে অনুরাগ জালান নামে এক ব্যক্তি। তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে আসা সোনা এখানে মজুত করা হয় এবং পরে গলানো হয়। জানা যায়, বড়বাজারের মনোহর দাস স্ট্রিট, নলিনী শেঠ রোড ও চেতন শেঠ রোডের গুদামে প্রচুর পরিমাণ চোরাই সোনা রাখা রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিআরআইয়ের একটি টিম নলিনী শেঠ রোডে একটি সোনার দোকানে হানা দেয়। সেখান থেকে ২০ পিস সোনার কয়েন উদ্ধার হয়। সঙ্গে মেলে রুপোর বিভিন্ন সামগ্রী ও নগদ ২০ লক্ষ টাকা। আটক করা হয় অনুরাগ জালানকে। জেরায় তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া সোনার কয়েনগুলি চোরাই সোনা গলিয়েই তৈরি করা হয়েছিল। এরপর তাঁর মনোহর দাস স্ট্রিটের একটি দোকানে হানা দেয় ডিআরআই। জানা যায়, এটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁর কর্মী বৈকুণ্ঠনাথ প্রসাদ। ওই কর্মীর কাছেই রয়েছে দোকানের চাবি। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁর থেকে চাবি নিয়ে ওই দোকানে তল্লাশি চালিয়ে মেলে চারটি সোনার বার। চোরাই সোনা এখানে রাখা হয় বলে তিনি জানতেন। তাঁর কাছ থেকে জানা যায়, অনুরাগ জালানের রূপম শাড়িজ নামে একটি দোকান রয়েছে। সেখানেও চোরাই সোনা মজুত করে রাখা হয়েছে। এরপর মনোহর দাস স্ট্রিটের ওই দোকানে হানা দিয়ে চারটি সোনার বার ও পাঁচটি সোনার তাল উদ্ধার করেন অফিসাররা। পাশাপাশি রুপোর বেশ কিছু সামগ্রীও মেলে। এই বিপুল পরিমাণ সোনার কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি অনুরাগবাবু। এরপর ডিআরআই-এর আধিকারিকরা তাঁকে ও বৈকুণ্ঠপ্রসাদকে গ্রেপ্তার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে অনুরাগ জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই তিনি এই কারবার চালাচ্ছেন। বিদেশে সোনার চোরাকারবারে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।