বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিআইপি রোড সংলগ্ন ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী প্রথম দেখেন, একজন নীচের দিকে মুখ করে ঝুলছেন। তিনি চিৎকার করে আবাসনে অন্যদের খবর দেন। সেসময় বাসিন্দারা বেরিয়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিস ও দমকলে। বাসিন্দারা আবাসনের ভিতর থেকে দড়ি দিয়ে গ্রিলের সঙ্গে ওই তরুণীকে আটকে দেন। এদিকে, অন্য বাসিন্দারা তড়িঘড়ি তোশক, বিছানা এসব নিয়ে আবাসনের নীচে হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে পড়েন। যাতে পড়ে গেলে তাঁকে ধরে ফেলা সম্ভব হয়। হইহল্লা শুরু হয়ে যায়। কিছু বাসিন্দা ছাদ থেকে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এরপরে সেখানে গ্রিল কাটার এক মিস্ত্রিকে আনা হয়। তিনি গ্রিল কেটে তাঁকে আবাসনের ভিতর দিকে ঢুকিয়ে নেন। তারপরই সবাই হাঁফ ছাড়েন। এরপর সেখানে এসে হাজির হয় দমকলের গাড়ি তবে তার আর দরকার পড়েনি।
ওই আবাসনের প্রেসিডেন্ট অশোক ঝা জানান, দমকল আসার আগেই ওঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ৪টে ১৫ থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি। প্রচুর লোক জমে গিয়েছিল। এই আবাসনেই প্রায় ২৫০০ বাসিন্দা থাকেন। ওঁকে উদ্ধারের জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হয়। তবে তিনি শান্ত ছিলেন। কী কারণে ওই ঘটনা ঘটল আমরা বুঝতে পারছি না। উনি ট্রমার মধ্যে রয়েছেন তাই তাঁকে এদিন জিজ্ঞাসাও করা যায়নি। বিধাননগর পুরসভার স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান মণীশ মুখোপাধ্যায় জানান, শুনলাম কিছু দিন আগে মেয়েটির চিকিৎসা চলছিল। কী থেকে কী হয়েছে এখনও বোঝা যাচ্ছে না। এখন তিনি সুস্থ রয়েছেন।