পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিসের এক অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক বলছেন, সেই অর্থে গার্ডেনরিচে এস আই তাপস চৌধুরী খুনের পর এভাবে কোনও পুলিস অফিসারকে রক্তাক্ত হতে হয়নি। দুষ্কৃতীরা যে দলের হোক না কেন, স্থানীয় থানার গুন্ডাদমনের দায়িত্বে থাকা অফিসারের হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারতে পারার মতো সাহস পাচ্ছে কোথা থেকে? সিপির উচিত, এখনই বিষয়টি কড়া হাতে দমন করা। সিপি সম্ভবত ওসিদের তলব করে সেটাই করেছেন।
অন্যদিকে, যোধপুর পার্কে বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল –বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনায় চার বিজেপিকর্মীকে গ্রেপ্তার করল লেক থানার পুলিস। ধৃতরা হল, বলরাম সিং, কিরণ সিং, কবিতা সিং এবং সুস্মিতা হালদার। ধৃতদের শুক্রবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, লালবাজার সূত্রের খবর,এই ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের চেষ্টা (৩০৭), গুরুতর আঘাত (৩২৬) ধারার মতো জামিন অযোগ্য ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তেমনিই বিজেপি সমর্থকদের পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে মারধর (৩২৩), অবৈধভাবে আটকে রাখার (৩৪১) অভিযোগে মামলা হয়েছে। পাশাপাশি, লেক থানার এক সাব ইন্সপেক্টরের স্বতঃপ্রণোদিত লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারীকে কাজে বাধা ও মারধর (৩৫৩), সরকারি কর্মীকে গুরুতর আঘাত করা(৩৩২), অগ্নিসংযোগের চেষ্টার (৪৩৫) ধারার মতো জামিন অযোগ্য ধারায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে প্রচার বন্ধ করতে বলা হয়। যা নিয়ে বচসার সূত্রপাত। অভিযোগ, এই বচসা চলাকালে কটুক্তিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে লেক থানার অ্যান্টি রাউডি অফিসার পুস্পল ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে গেলে বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। তার হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।