কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ধরেই ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে আসছিলেন অসংখ্য যুবক-যুবতী। এই নিয়ে পুলিসের কাছে কয়েকটি অভিযোগও জমা পড়ে। সেকারণেই এসএসকেএম পুলিস আউটপোস্টের অফিসাররা বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছিলেন। তাঁরা আশঙ্কা করছিলেন, চক্রের পাণ্ডা আশপাশে কোথাও আছে এবং এই হাসপাতালে তার নিয়মিত যাতায়াত আছে। শুক্রবার দুপুরে নজরদারি চালানোর সময় আউটপোস্টের অফিসারদের নজরে আসে, এক যুবককে ঘিরে রয়েছেন জনা দশ-বারোজন যুবক-যুবতী। যুবকের হাতে একাধিক সোনার আংটি রয়েছে। তার চালচলন ও হাবভাব দেখে সন্দেহ হওয়ায় চ্যালেঞ্জ করেন আউটপোস্টের পুলিস কর্মীরা। এই সময় ওই যুবক ছুটে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিস কর্মীরা তাড়া করে তাকে ধরে ফেলেন। জেরা করে জানা যায়, তার নাম রানা মুদি। তল্লাশি চালিয়ে তার ব্যাগ থেকে মেলে নগদ টাকা ও ভুয়ো নথি সহ অন্যান্য সামগ্রী। এরপর অভিযুক্তকে ভবানীপুর থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, সে এই প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা। বেকার যুবক-যুবতীদের বলে বেড়াত, স্বাস্থ্য দপ্তরে নিয়োগের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে। এমনকী এও বলত যে, তার সঙ্গে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। বেকার যুবক-যুবতীদের স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন জাল কাগজপত্র দেখিয়ে আশ্বস্ত করত সে। চাকরি দেওয়ার নাম করে মাথাপিছু তিন থেকে চার লক্ষ টাকা নিত বলে অভিযোগ। এরপর তাঁদের ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হতো। তাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর সই থাকত। যা জাল বলে জানা গিয়েছে। এই ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়েই চাকরিতে যোগ দিতে এসেছেন বেশ কয়েকজন যুবক-যুবতী। তখনই তাঁরা জানতে পারতেন প্রতারণা শিকার হয়েছেন। এবিষয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, প্রশাসন তার কাজ করেছে। কোনওভাবেই যেন এই জাতীয় অপরাধ বরদাস্ত করা না হয়।