পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের তরফে টেন্ডার ডাকা হলে একটি সংস্থা এটির দায়িত্ব পায় এবং ১৯ তারিখ থেকে চালু হয় পার্কিং লট। পার্কিং লটটির কর্তা রীতেশ পাণ্ডে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তিন-চারজন মদ্যপ অবস্থায় বাইকে এসে আমার কর্মচারীদের কাছে কয়েক লক্ষ টাকা চায়। ওরা তখন আমাকে ফোন করে। আমি বলি যে এরকম অনেকেই চাইবে। যেন পাত্তা না দেয় তাদের। তারপর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অনেকগুলি বাইকে প্রায় ৩০-৩৫ জন এসে হামলা চালায়। আমার প্রধান সুপারভাইজার রোহিত সিংকে প্রচুর মারধর করে। বাকিদের ধাক্কা মারে, ফেলে দেয়। গত তিন-চারদিনের উঠে আসা টাকা ব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাখা ছিল। সেই টাকা তারা লুট করে নিয়ে চলে যায়। যার পরিমাণ প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, দুষ্কৃতীদের দলের মধ্যে যে চারজনকে চিনতে পেরেছি, তাদের সহ নাম না জানা অপরাধীদের নামে থানায় অভিযোগ করেছি। ঘটনায় মনতোষ সিং, গুড্ডু তেওয়ারি, তারক শঙ্কর এবং অশোক শঙ্কর সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় রেল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিস কমিশনারেটের তরফে নানা জায়গায় লাগানো রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সেগুলির ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত করছে পুলিস। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হাওড়ায় নতুন করে কোনও ব্যবসাই হোক বা সরকারি বরাত নিয়ে কোনও কাজ করতে গেলেও তোলাবাজির শিকার হতে হয় অনেককে। অনেকেই আবার তাদের সঙ্গে একটা আপস-মীমাংসা করে চলে।
বহু টাকার এই পার্কিং লটের বরাত পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগী একটি সংস্থার সঙ্গে বরাত পাওয়া সংস্থার রেষারেষি চলছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা সেই রেষারেষিরই ফল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে দিনেদুপুরে হাওড়া স্টেশনের মতো উচ্চ নিরাপত্তার এলাকা সংলগ্ন অংশে এসে যেভাবে ভাঙচুর, মারধর, লুটপাট চলল, তাতে অনেকেই আতঙ্কিত। তবে এখন থেকে ওই পার্কিং লটের নিরাপত্তার বিষয়টি রেল পুলিসও নজরে রাখবে বলে জানা গিয়েছে।