গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দেবীর পাড়া এলাকায় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সম্প্রতি চাপানউতোর বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে বাইকের ধাক্কার ঘটনাকে ছুতো করে আসলে রাজনৈতিক সংঘর্ষই হয়েছে বলে তাঁদের মত। তবে বিজেপিকে দোষারোপ করলেও এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি শাসকদলের। পাল্টা বিজেপির দাবি, এতে বিজেপির কোনও যোগ নেই। পুলিস বলছে, সরাসরি কোনও দলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকলেও এই দুই দলের সমর্থকরা গোলমালে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল পুলিস পিকেট বসেছে। মানুষজন মোড়ে মোড়ে জটলা করছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বৃহস্পতিবার রাত ন’টার দিকে বেনারস রোডের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দু’জন ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে একটি বাইক। ওই দু’জন পেশায় রাজমিস্ত্রি এবং এলাকায় পরিচিত। এর পর দু’পক্ষের মধ্যে বচসা এবং হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। লিলুয়া থানার পুলিস এসে মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দার দাবি, ধাক্কা মারা ও তারপর গোলমাল করার জন্য পুলিস তিনজনকে ধরে নিয়ে গেলেও একজনকে ছেড়ে দেয়। সেই একজন শাসক দল তৃণমূলের বলেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু বাকিরা বিজেপি সমর্থক বলে ছাড়া হয়নি—এরকম খবর ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর বিজেপি সমর্থকরা বেনারস রোড অবরোধ করে। রাতেও বিশাল যানজট হয়ে যায় এলাকায়। পুলিস অবরোধ তুলতে এলে তুলকালাম বেধে যায়। অভিযোগ, পুলিসকে লক্ষ্য করে দেদার ইঁট-পাটকেল ছোঁড়া হতে থাকে। এতে জখম হন একজন এসআই, দু’জন কনস্টেবল এবং একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। সিভিকের কর্মী ভোলাশঙ্কর চৌবের কপালে আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিসকে আক্রমণের প্রতিবাদে তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত একদল লোক স্থানীয় একটি ক্লাব এবং কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়।
এরকম একটি বাড়ির মালিক অরুণ ঘোষ বলেন, রাত ১২টা নাগাদ বাড়ির উপর হামলা হয়। আমার ছেলে বাবাই বিজেপির লোকজনের সঙ্গে মিশত। তাই এই হামলা বলে মনে হচ্ছে। গোলমালের প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রধান তথা এলাকার তৃণমূল নেতা গোবিন্দ হাজরা বলেন, বিজেপি বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে সমস্যা তৈরি করে যাচ্ছে গত ক’দিন ধরে। এলাকার বাসিন্দারা শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার প্রতিবাদ করেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনওভাবেই কোনও যোগ নেই।
এ বিষয়ে হাওড়া জেলার বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, বিজেপি এসব গোলমালে কেন থাকবে? তবে ওখানে গোবিন্দ হাজরার নেতৃত্বে যা শুরু করেছে তৃণমূল, এ নিয়ে আমরা পথে নামব। হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের এসিপি (নর্থ) প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া বলেন, আমরা পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি তদন্ত চলছে।