বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কলকাতা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সৈকতবাবুর বন্ধু তাঁদের বাড়িতে থাকা একটি কাঠের টেবিল ১৩ হাজার টাকায় বিক্রির জন্য ওএলএক্সে বিজ্ঞাপন দেন। টেবিল পছন্দ হওয়ার অছিলায় সেই বিজ্ঞাপন দেখে উত্তর ভারত থেকে সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ফোন করে বসে। টেবিলের দাম বাবদ ১৩ হাজার টাকা সে গুগল পে-এর মাধ্যমেই মেটাতে চায়।
কিন্তু সৈকতবাবুর সেই বন্ধুর গুগল পে অ্যাকাউন্ট ছিল না। ফলে তিনি সৈকতবাবুর দ্বারস্থ হন। এরপর দুটি মোবাইল নম্বর থেকে সৈকতবাবুর মোবাইলে ‘কিউ আর’ কোড পাঠানো হয়। সেই কোড ‘স্ক্যান’ করার পর একটি ‘লিঙ্ক’ পাঠানো হয় সৈকতবাবুর মোবাইলে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করা মাত্রই সৈকতবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় ৯৮ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে সৈকতবাবুকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ট্রাভেল করছিলাম। জালিয়াতদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়েছি বুঝতে পেরেই আমি কলকাতা পুলিসের অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার অলোক সান্যালকে ফোন করি। অলোকবাবুর পরামর্শে তিনি ই-মেলে অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে ২১ জানুয়ারি আনন্দপুর থানা অজ্ঞাতপরিচয় জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণা, প্রতারণা, ষড়যন্ত্র, জালিয়াতির মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। লালবাজারের সাইবার থানার গোয়েন্দারা এই জালিয়াতির তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এই ঘটনায় গোয়েন্দারা বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের এক সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি কলকাতা সহ গোটা রাজ্যেই ওএলএক্স কেনাবেচার সময় টাকা মেটানোর নামে এই জালিয়াতি শুরু হয়েছে। পেটিএম নাম করে জালিয়াতিতে জামতাড়া গ্যাং জড়িত থাকলেও এই ওএলএক্স কাণ্ডে রাজস্থানের ভরতপুরের সাইবার দুষ্কৃতীরা জড়িত।