পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কী হয়েছিল ঘটনাটি? এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। কিন্তু এদিন সকালে পড়ুয়ারা এবং তাদের অভিভাবকরা এসে দেখে, মাঠের প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি জায়গায় বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানের জন্য প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। হয়েছে ম্যারাপ বাঁধা। লাগানো হয়েছে এলইডি আলো। ফুলের তোড়া দিয়ে সাজানো হয়েছে। স্কুলের শিক্ষিকারাও অবাক হয়ে যান। তাঁরা বলেন, ক্রীড়ার অনুশীলন তো বন্ধই। একমাত্র প্রার্থনা কক্ষটিও তালা মেরে যাওয়া হয়েছে। স্কুলের ছাত্রীরা বলল, আমরা কী করব! বিয়ের বাড়ির জন্য তো অন্যত্র প্যান্ডেল করতে পারত। বছরে তো একদিন আমাদের এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়। অভিভাবকরা বললেন, এটা কী ধরনের সিদ্ধান্ত জানি না। একজন জনপ্রতিনিধি পড়ুয়াদের গুরুত্ব না দিয়ে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানের জন্য প্যান্ডেল তৈরির অনুমতি দিলেন, অবাক কাণ্ড! তাঁর বিধানসভা এলাকায় তাঁরই মেয়র পরিষদের একজন সদস্যের ঘটানো এই ঘটনা নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও কিছুই বলেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, এতে তিনি ক্ষুব্ধ। প্রসঙ্গত, দরিদ্র শিশুদের জন্য এই স্কুলটির দ্বারোদ্ঘাটন তিনিই করেছিলেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, মাঠের সর্বত্র মই, আলোর চেন পড়ে রয়েছে। মাঠের ৫০ শতাংশ দখল করে ম্যারাপ বাঁধা হয়েছে। কোথায়, কীভাবে করব বৃহস্পতিবার ক্রীড়া প্রতিযোগিতা? কিছুই তো বুঝতে পারছি না। বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তারা অবশ্য বললেন, সবরকম অনুমতি নিয়েই এই কাজ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে লিখিত দেওয়া অনুমতিপত্রও তাঁরা দেখান।