কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন বিকেলে আহিরীপুকুর সেকেন্ড লেনে ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যেকেই শোকে ভেঙে পড়েছেন। ঘরের ভিতরে মৃত যুবকের মা কেঁদেই চলেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের পর পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ইমরানের আত্মীয় সাব্বির আলি বললেন, আমার বড় মেয়ে আমাকে রাতে খবর দেয়। আমি সেইমতো চলে আসি। মেটিয়াবুরুজে ইমরানের বড় বোনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ওরা স্বামী-স্ত্রী সন্ধ্যাতেই বাইকে বেরিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় ওরা বলে গিয়েছিল, তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে। কিন্তু বাড়ির লোকজন চিন্তা তো করেই। কলকাতা বন্দরের রাস্তা নিয়ে যা শুনি। কিন্তু রাত হয়ে যাচ্ছে, দেখে ইমরানের বাবা পারভেজ কামাল সাহেব ফোন করেন। ইমরানের দাদাও ফোন করে। কিন্তু কেউ তাঁকে ফোনে পাচ্ছিল না। এমনকী, ইমরানের মামাও বারবার ফোন করে যাচ্ছিল। তারপরে রাত দু’টো নাগাদ পুলিস মোবাইল স্যুইচ অন করে। যার এসএমএস বাড়ির লোকের মোবাইলে আসে।
বাড়ির লোকজন জানালেন, কাপড়ের উপরে যে নকশা হয়, তার ডিজাইনার ছিলেন ইমরান। খুব ভালো আঁকতে পারতেন। ইমরানের দুই দাদাও রয়েছেন। আছেন বোনও। দাদারা এদিন বিকেলে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ইমরানের বাবা পারভেজ আলম বললেন, বাইক নিয়ে বেরলে আমরা সবসময় চিন্তা করতাম। কিন্তু এভাবে আমাদের ছেলে অকালে চলে যাবে, তা কখনওই আঁচ করিনি। বলতে বলতে কেঁদে ওঠেন সন্তানহারা বৃদ্ধ। সন্তান দু’টিকে অবশ্য বাড়ির লোকজনই সামলাচ্ছিলেন। বাচ্চা মেয়েটি বারবার তার মাকে খুঁজছে। একজন আত্মীয় বললেন, কীভাবে বলব, আর কোনওদিন তাদের বাবা-মা ফিরবে না।