কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা সরকারি জমিতে থাকতেন। সম্প্রতি তার দখল নেওয়ার জন্যে প্রশাসনকে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল। এদিন প্রশাসনের একটি দল সাবিরার বাড়ি আসতেই তিনি আচমকা গায়ে আগুন দিয়ে দেন। ঘটনার জেরে বিমূঢ় হয়ে পড়েন প্রশাসনের কর্তারা। তাঁরাই অবশ্য ওই মহিলাকে উদ্ধারও করেন।
যদিও সাবিরার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময় তাঁরা এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তা দেওয়া দূরে থাক পুলিস কর্মীরা তাঁকে হেনস্তা করে। এতেই ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে তিনি গায়ে আগুন দেন। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপার সৌম রায় বলেন, আদালতের নির্দেশে সরকারি আধিকারিকরা ওই মহিলাকে বোঝাতে আসার আতঙ্কে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে দেন। পুলিসি হেনস্তার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়া-আমতা রাস্তার ধারে বড়গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জায়গা দখল করে বসবাস করছিলেন সাবিরা ও তাঁর পরিবার। প্রায় ৫ বছর আগে নজরুল শেখ নামে এক ব্যক্তি বাড়ির পিছনে একটা জায়গা কেনেন। কিন্তু, তাঁর রাস্তার সমস্যা দেখা দেওয়ায় তিনি একাধিকবার সাবিরাকে জায়গা ছাড়ার কথা বলেন। একাধিকবার প্রস্তাব দিলেও সাবিরা তাতে কর্ণপাত করেননি। এরপর বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আদালত পূর্ত ও সড়ক বিভাগকে জায়গাটি খালি করার নির্দেশ দেয়। ১৫ দিন আগে তাঁকে উচ্ছেদের চূড়ান্ত নোটিস পাঠায় প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, সেই নোটিস ওই মহিলা গ্রহণ না করায় তাঁর বাড়িতে সেটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। নোটিস মোতাবেক বুধবার দুপুরে উলুবেড়িয়া ২ নং ব্লকের বিডিও, পূর্ত ও সড়ক বিভাগের আধিকারিকরা এবং পুলিস জায়গা খালির জন্য বোঝাতে থাকেন। এনিয়ে বচসা শুরু হয়ে যায়। এসময় প্রশাসনের তরফে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এরপরেই আচমকা সাবিরা ঘরের ভিতরে গিয়ে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তাঁর চিৎকারে বাড়ির বাইরে থাকা পুলিস কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ানোয় এলাকায় পৌঁছান উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক তুষার সিংলা, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপার সহ বিশাল পুলিস বাহিনী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় পুলিস পিকেট বসিয়ে র্যা ফ মোতায়েন করা হয়েছে।