পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাগনানের বাসিন্দা হরেকৃষ্ণ দাস উত্তর কলকাতার রাজা ভবকৃষ্ণ স্ট্রিটের একটি সোনার দোকানে কাজ করত। এখানে কাজ করতে গিয়েই সোনাগাছি এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক তৈরি হয়। ধীরে ধীরে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দুজনেই বিয়ে করবে বলে ঠিক করে। কিছুদিন পর প্রেমিকা সোনার গয়নার আবদার করে প্রেমিকের কাছে। তাকে খুশি করতে হরেকৃষ্ণ ঠিক করে, যে সোনার দোকানে সে কাজ করে, সেখান থেকেই গয়না চুরি করবে। অন্যান্য দিনের মতোই চলতি মাসের ১৯ তারিখ সে সোনার দোকানে কাজে আসে। এখানে সোনার অলঙ্কার তৈরির ইউনিটও রয়েছে। তাই প্রতিদিনই প্রচুর সোনার কাজ হয়। ওই দিন সে দোকানে একাই ছিল। চাবি দিয়ে ভল্ট খোলার পর সেখানে রাখা সোনা ও নগদ ১৯ হাজার টাকা হাতায়। এরপর দোকানে চাবি পাশের এক দোকানদারকে দিয়ে পালায়। মালিক এসে দেখেন দোকান বন্ধ। চাবি রয়েছে পাশের দোকানে। তাঁর কাছ থেকে চাবি নিয়ে দোকান খুলে দেখেন, ভল্ট খোলা অবস্থায় পড়ে। তাতে অলঙ্কার নেই। দোকানের কর্মী হরেকৃষ্ণকে ফোন করেন। তার মোবাইল বন্ধ মেলে। তা দেখে সন্দেহ হয় মালিকের। অনুমান করেন, গয়না হরেকৃষ্ণই হাতিয়েছে। এরপরই তিনি শ্যামপুকুর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিস চুরির মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে নেমে পুলিস সোনাগাছি এলাকায় ওই মহিলার ঘরে হানা দেয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে হরেকৃষ্ণর মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় অফিসাররা সন্দেহ করেন, দু’জনে একই জায়গায় রয়েছে। মোবাইলের কল লিস্ট পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, দু’জনের শেষ টাওয়ার লোকেশন রয়েছে উলুবেড়িয়া এলাকায়। শ্যামপুকুর থানার ওসি আশিস দাসের নির্দেশে থানার দুই অফিসার শীলভদ্র দত্ত ও প্রতাপ সরকার সেখানে পৌঁছে যান। জানা যায়, ওই এলাকার একটি যৌনপল্লিতে থাকার জন্য ঘর ভাড়া নিয়েছে দু’জনে। অফিসাররা সেখান থেকে গ্রেপ্তার করেন দু’জনকে। মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১০২১ গ্রাম সোনার গয়না। যা হরেকৃষ্ণ তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পরিকল্পনা করেই এই গয়না হাতানোর কথা জেরায় ধৃতরা স্বীকার করে নিয়েছে।