কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তাদের খাওয়ানো, পরিচর্যা নিজের হাতেই করেন তিনি। নিয়ম মেনে কুকুরগুলোকে ভ্যাকসিন ও নির্বীজকরণও করেছেন। কুকুরদের খাওয়ানোর নির্দিষ্ট মেনুও রয়েছে। সকালে ভাত, মুরগির গলা ও মেটে দিয়ে খাবার দেন। দুপুরে বিস্কুট, রাতেও ভাত ও মাংসের ব্যবস্থা থাকে। কুকুরকে খাওয়াতে প্রতিদিন ইন্দ্রানীদেবীর খরচ হয় প্রায় ৪০০ টাকা। প্রতিদিন সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যাওয়ার আগে পোষ্যদের খাইয়ে কর্মস্থলে যান।
কিন্তু, তাঁর এই সারমেয়প্রেমে বাদ সেধেছেন খোদ প্রতিবেশীরাই। তাঁদের অভিযোগ, দিনে ও রাতে কুকুরগুলো চিৎকার করে। রাস্তা নোংরা করে দিচ্ছে। প্রতিবেশী সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ইন্দ্রাণীদেবী ভালো মানুষ। তাঁকে নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কুকুরের জন্যই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। কুকুরগুলো দিনে ও রাতে চিৎকার করে। এতে বাচ্চাদের পড়াশুনা ও ঘুমের দফারফা হয়ে যাচ্ছে। তিতিবরক্ত হয়ে আমরা ইন্দ্রাণীকে কুকুরগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি। এলাকাবাসী স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলার রত্না ভট্টাচার্যকে অভিযোগ জানান। রত্নাদেবীও আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কুকুরগুলিকে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশীরা আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। তাই আমি ইন্দ্রাণী ভৌমিককে এই কথা বলেছি।
ইন্দ্রানীদেবী বলেন, কুকুরগুলোর জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা রেখেছি। ওরা একবার আমার একটি কুকুরের নামে মিথ্যে অভিযোগ দেয়। সেই কারণে আমাকে ৪ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হয়। সম্প্রতি কাউন্সিলার ও প্রতিবেশীরা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কুকুরকে অন্যত্র সরানোর কথা বলেছে। না হয় কুকুর নিয়ে আমাকে অন্যত্র চলে যেতে বলেছে। দুটোর কোনওটি করা সম্ভব নয়। বাইরে কুকুরকে ছাড়া মানে ওদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। আমি ওদের সন্তানস্নেহে লালন-পালন করি। সেকারণে আমি স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়েছি। আমি মারা গেলে সব সমস্যার সমাধান হবে।