পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লোকসভা ভোটে বনগাঁ শহরে শাসক দলের ভরাডুবি হয়েছে। তার উপর এমন গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনায় শাসক দলের অন্দরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, এই বিষয়ে থানায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য। পারিবারিক কারণে অনিরুদ্ধবাবু সেইভাবে কলেজে সময় দিতে পারছিলেননা। মাস দেড়েক আগে ওই জায়গায় বনগাঁর বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষকে সভাপতি করা হয়েছে। সম্প্রতি কলেজের সরস্বতী পুজো ও বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু ওই কমিটিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের প্রাক্তন জিএস সহ অনেককে রাখা হয়নি বলে অভিযোগ। সোমবার এই বিষয়টি ছাত্র সংগঠনের নেতারা জানতে পারার পর উত্তেজনা তৈরি হয়।
এদিন সকালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা কলেজের গেটে বিক্ষোভ শুরু করেন। কলেজে মিছিল করার সময় আচমকাই বাইরে থেকে অপর গোষ্ঠী হামলা চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা ও মারপিট শুরু হয়। এরপর মারমুখী একদল বহিরাগত তৃণমূল কর্মী লাঠি হাতে কলেজে ঢোকে। এরপর তারা ছাত্রছাত্রীদের তাড়া করার পাশাপাশি কলেজের বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগে ঢুকে পড়ে। এরপর চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করার পাশাপাশি নোটিস বোর্ড, দরজা সহ বিভিন্ন সামগ্রী ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়। কলেজের সিসিটিভিও ভাঙচুর করা হয়।
ছাত্র সংসদের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা তৃতীয় বর্ষের ছাত্র পলাশ মণ্ডল বলেন, কলেজের সরস্বতী পুজো ও বাৎসরিক অনুষ্ঠানের কমিটিতে ছাত্র সংসদের সদস্যদের রাখা হয়নি। কলেজ পরিচালন সমিতি বসে নতুন কমিটি তৈরি করেছে। এর ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এদিন আমরা যখন কলেজের মধ্যে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলাম, তখন বহিরাগতরা হামলা চালায়। আমাদের মারধর করার পাশাপাশি কলেজের বিভিন্ন বিভাগে দেদার ভাঙচুর চালায়। তবে ওদের আমরা চিনতে পারিনি। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।
কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, সরস্বতী পুজোর কমিটি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যে কারণেই সমস্যা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে এখনও আমরা থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করিনি। কলেজ পরিচালন সমিতি থানায় অভিযোগ জানানোর কথা বললে নিশ্চই আমরা অভিযোগ জানাব। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি রতন ঘোষ বলেন, কলেজের পুজো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কমিটিতে ছাত্রছাত্রীরাই থাকবে। তবে কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনেক দিন হয়নি। পুরনো কমিটির সদস্যদের কারা কমিটিতে স্থান পায়নি, তা আমার জানা নেই। কলেজে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে তা অনভিপ্রেত। আমরা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বুধবার আলোচনায় বসব। ওই বৈঠকে পরিচালন সমিতির সদস্য ও কলেজ কর্তৃপক্ষ থাকবেন। আলোচনার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করা হবে। সে কারণে এখনও থানায় কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি।