কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রের খবর, কাঁচরাপাড়া কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুজয়। হরিণঘাটা কলেজে পরীক্ষার সিট পড়েছিল তাঁর। গত ৭ জানুয়ারি বন্ধুর বাইকে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন সুজয়। সে সময় মোহনপুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁদের বাইকটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাপন ঘোষ নামে সুজয়ের বন্ধু বাইকচালকের। পিছনের আসনে বসে ছিলেন সুজয়। গুরুতর চোট পান তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে হরিণঘাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কল্যাণী হয়ে পিজি হাসপাতালে আনা হয়। পিজিতে চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষানিরীক্ষা করে ‘মস্তিষ্কের মৃত্যু’ বা ‘ব্রেন ডেথ’ হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের তরফে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবিবার রাতে বিশেষ সচিব ডাঃ তমালকান্তি ঘোষের উপস্থিতিতে অঙ্গদানের সম্মতিপত্রে সই করেন সুজয়ের বাড়ির লোকজন।
এরপরই দুটি পৃথক গ্রিন করিডরের মাধ্যমে একবার পিজি থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং অন্যবার পিজি থেকে অ্যাপোলো পর্যন্ত নিয়ে দানের অঙ্গ নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয় অপারেশন। সুজয়ের হার্ট প্রতিস্থাপিত হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অমল হালদার নামে এক ব্যক্তির দেহে। অন্যদিকে লিভার যায় বাইপাস লাগোয়া কর্পোরেট হাসপাতালে।