পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বনদপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার সদর দপ্তর সল্টলেকের বিকাশ ভবনে। সেখানে সোমবার সকাল থেকেই একের পর এক ফোন আসতে থাকে। বন্যপ্রাণ শাখার এক কর্তার কথায়, সোমবার কোন্নগরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহু ফোন এসেছে তাঁদের দপ্তরে। কেউ আগ্রহ সহকারে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, তো কেউ আবার— কেন বনদপ্তর এখনও কোনও পদক্ষেপ করছে না, সেবিষয়ে মেজাজ চড়িয়েছেন।
বনদপ্তরের কর্তার কথায়, ফোনের অপর প্রান্তে ইচ্ছুক মানুষদের বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, কোন্নগরে যেটা দেখা গিয়েছে, সেটা বাঘরোল। কিন্তু, তাঁদের পাল্টা দাবি, তাহলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যাঁরা লিখছেন, তাঁরা ভুল লিখছেন? এই অবস্থায় মানুষকে সত্যি ঘটনাটা বোঝাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল বন্যপ্রাণ শাখার কর্মী-আধিকারিকদের। এক আধিকারিকের কথায়, শুধুমাত্র কোন্নগর তথা হুগলি জেলা থেকেই ফোন এসেছিল, এমনটা নয়। অনেক দূর দূর থেকেও ফোন করে অনেকে বিষয়টির সত্যতা জানতে চায়। কলকাতা থেকে একজন ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন, সকাল থেকে টিভিতে যা দেখাচ্ছে, সেটার সত্যতা কী? তাঁকে বুঝিয়ে বলার পর তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন রাখেন।
কিন্তু, অধিকাংশ ফোন করা লোকেরাই সোমবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনদপ্তরকে কাঠগড়ায় তুলে রীতিমতো সুর চড়ান। একজন তো বলেই দেন, এত ঘণ্টা হয়ে গেল আপনারা কী করছেন কী? ‘বাঘ’টাকে এখনও ধরতে পারলেন না। কিন্তু, সেটি বাঘ নয় বাঘরোল— এই বিষয়টি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বনাধিকারিকরা। সকাল থেকে একের পর এক এরকম ফোন আসতে থাকায়, শেষে কিছুটা বিরক্ত হয়ে যান বনকর্মীরা।
কয়েকজন উত্তেজিত ব্যক্তিকে হাওড়া-হুগলি ডিভিশনের বনদপ্তরের অফিসের নম্বর দিয়ে, তাঁদের সেখানে যোগাযোগ করতেও বলা হয়। কিন্তু, তাতেও তাঁদের শান্ত করা যায়নি। বনদপ্তরের এক কর্তা বলেন, সম্প্রতি ভাঙড়েও এরকমই ঘটনা ঘটছিল। বনদপ্তর সচেতনতা প্রচার করার পর এখন কিছুটা গ্রামবাসীদের সচেতন করা গিয়েছে। কোন্নগরের ক্ষেত্রেও সেরকমই করা হবে বলে বনকর্তা জানিয়েছেন।