কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রিজেন্ট পার্ক এলাকার বিনয় বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল দোলন। সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা। অথচ সে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকত। এনিয়ে সাম্প্রতিক অতীতেও মা-মেয়ের একাধিকবার বচসা হয়েছে। আর পাঁচজন অভিভাবকের মতো সোমবার সন্ধ্যায় দোলনের মা তাকে বকাবকি করেন। ঘটনাচক্রে, সোমবার বচসা চলাকালে দোলনের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিতে যান মা। কিন্তু মোবাইলটি মেঝেতে পড়ে যাওয়ায় তাতে চিড় ধরে। এরপরই নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় দোলন।
মা ভেবেছিলেন, আর পাঁচটা দিনের মতোই রাগ হয়েছে দোলনের। তিনি পাশের বাড়ি থেকে চা খেয়ে ফিরে এসে দেখেন, তখনও দোলনের ঘরের দরজা বন্ধ। দরজা খুলতে না পেরে তিনি স্থানীয় ক্লাবের ছেলেদের সাহায্য চান। তাঁরাই দরজা ভেঙে দেখেন, দোলন গলায় শাড়ি জড়িয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা দোলনকে উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দোলনের বাবা তাপস দাস কর্মসূত্রে গুজরাতে থাকেন। এখানেই মা ও দাদার সঙ্গে থাকত দোলন। খবর পেয়ে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিস রাতেই দোলনদের বাড়িতে যায়। পুলিস অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।