কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
কথা হচ্ছিল তরুণ শিল্পী প্রভাকর পোড়েলের সঙ্গে। হাসি হাসি মুখে ২৭ বছরের ওই শিল্পী বললেন, অনেক দিন বাদে এবার আমরা প্রায় সকলেই কমবেশি ভালো বাজার পেয়েছি। ছোট বয়স থেকেই এই কাজে লেগে গিয়েছি। বংশ পরম্পরায় আমরা এই কাজ করে পেটের ভাত জোগাড় করি। কাজ করতে করতেই ওই শিল্পী বললেন, গত এক মাস ধরেই আমাদের কাজের চাপ বেশ বেড়ে গিয়েছে। এবার আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে বিভিন্ন কাজের বরাত পেয়েছি।
বিশাল বিশাল থার্মোকল কেটে বীণা, হাঁস, বই প্রভৃতি কাজ করছিলেন মাধব মল্লিক। বললেন, কাজের চাপে এখন প্রতিদিনই খেতে খেতে গড়িয়ে যাচ্ছে বিকেল। তবে বাজারটা উঠেছে দেখে ভালো লাগছে। বাজার মন্দা গেলে কার ভালো লাগে বলুন তো? তাই খাওয়া ঠিক সময় হল কি না, সেটা নিয়ে এখন আর ভাবার সময় নেই। শিল্পী প্রকাশ ধারা ও রাজেন ধারা বলেন, মাঝখানে আমাদের বাজার বেশ মন্দা চলছিল। তাই তখন বাঁশের কুলো, ধামা, পাখা প্রভৃতি তৈরি করে কাজ চালাচ্ছিলাম। কারণ পেট বড় বালাই। আর সব্জি, চাল ডাল তেল প্রভৃতির দাম যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে সংসার চালানো দায় হয়ে উঠেছে। তাই হাড়ভাঙা পরিশ্রম না করলে অন্নই জুটবে না। ওই দুই শিল্পী বলেন, এবার সরস্বতী পুজোয় বেশ কিছু ছোট ছোট মণ্ডপের বরাত পেয়েছি। ওই কাজ শেষ হয়ে গেলেই কিছু অতিরিক্ত মণ্ডপ ও অন্য কাজও করে রাখতে হবে। পুজোর দু’ একদিন আগে অনেকেই আচমকা এসে এই ধরনের মণ্ডপ কিনে নিয়ে যায়। তাতে বাড়তি দু’টো টাকার মুখ দেখা যায়। রাজেন্দ্র সিং নামে এক শিল্পী বিভিন্ন বরাত দেওয়ার কাজ কতটা হয়েছে, তা ঘুরে ঘুরে দেখেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা যায়, ওই শিল্পী নিজেই অসমাপ্ত কিছু কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সব মিলিয়ে কর্মচঞ্চল রামবাগানের শিল্পীপাড়া। সরস্বতীর দাক্ষিণ্যে অনেকদিন পরে সেখানকার শিল্পীদের চোখ মুখ খুশিতে ঝিকমিক করে উঠেছে।