বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তাঁদের অভিযোগ, তখন আটকে পড়া গাড়ি ও তার সওয়ারিদের বাঁচাতে আরেকটি গাড়ি নিয়ে একজন এগিয়ে আসে। সেই গাড়িটি আবার একজন উচ্চপদস্থ সরকারি আমলার বলে গাড়ির গায়ের স্টিকার দেখে জানতে পারেন বিক্ষুব্ধ প্রাতঃভ্রমণকারীরা। ওই গাড়িতে বিশ্ববাংলার লোগোও লাগানো ছিল। দুই তরফের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যে গাড়ি দু’টিকে আটকে রেখে পুলিসে খবর দেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা। এসবের মধ্যে দু’জন যুবক ভুয়ো স্টিকার লাগানো গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়। পুলিস এসে দু’টি গাড়ি এবং দুই চালককে আটক করে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রাতঃভ্রমণকারীরা দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। কাজের দিনে সকালে স্টেডিয়াম চত্বরে এসব গোলমালের জন্য যানজটও হয়।
হাওড়া পুলিসের এক পদস্থ কর্তা বলেন, দু’জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিসের ভুয়ো স্টিকার ব্যবহার এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে গাড়ি চালানোর জন্য মোটর ভেহিকেলস আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও রুজু করেছে পুলিস। তবে এদিনের ঘটনায় কেউ জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁরা পাননি বলে জানান ওই পুলিসকর্তা। যে গাড়িটিতে বিশ্ববাংলার লোগো লাগানো ছিল, সেটিও এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের বলে জেনেছে পুলিস। তবে এ বিষয়ে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিসকর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে সৌন্দর্যায়ন হওয়ার পর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গার লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন। একইসঙ্গে রিং রোড সহ স্টেডিয়াম চত্বরে বহিরাগতদের দাপাদাপিও বেড়েছে। বাইক এবং গাড়ির সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি এলাকায় প্রকাশ্যে নেশা করা সহ অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়েছে বলে অভিযোগ। ফলে বিভিন্ন সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বচসা, তর্কবিতর্ক লেগেই থাকে বাইরে থেকে আসা লোকজনের সঙ্গে। এলাকায় পুলিসি নজরদারি আরও কড়া করার আবেদন করেন তাঁরা।