কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
অভিযোগ, স্থানীয় ঘনশ্যামপুরের বাসিন্দা আসগর মল্লিক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই যুবক আগে থেকেই চিনত সৌমিকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আসগর কাজের সূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকত। মাসখানেক আগে সে ঘনশ্যামপুরে তার বাড়িতে এসেছে। ঘটনার খবর পেয়ে সৌমির বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী অসীমা পাত্র। অপরাধীর কঠোর শাস্তির আশ্বাস দেন তিনি।
জখম ছাত্রীর দিদি সঞ্চিতা পাল বলেন, ওই ছেলেটি আমার বোনকে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরক্ত করছিল। নানা অছিলায় তার সঙ্গে কথা বলতে চাইত। এমনকী আমাদের বাড়িতেও এসেছে কয়েকবার। আমার ফোন নম্বর জোগাড় করে নেয় কোনওভাবে। আমাকে ফোন করে জানতে চাইত, কেন আমার বোন তার সঙ্গে কথা বলছে না। নানাভাবে ব্ল্যাকমেলিংয়ের ভয়ও দেখায়। আমার বোন বাড়িতে থাকত না। সে পাশের গ্রামে মাসির বাড়িতে থাকত। সেখানেও তাকে নানাভাবে ব্যতিব্যস্ত করে তোলায় সে বাড়ি এসে থাকতে শুরু করে ক’দিন। নিজের পুরনো ফোন নম্বরও বদলে ফেলে। কিন্তু সেই নতুন নম্বরটিও ছেলেটি কোনওভাবে জোগাড় করেছিল।
তিনি আরও বলেন, সোমবার রাতে একটি মেয়ের কণ্ঠ নকল করে বোনকে কেউ ফোন করে। ওই ফোনের পর বোন বাড়ি থেকে বেরোয়। কিছুটা এগনোর পরই এই ঘটনা ঘটে। ছেলেটি পালায় তখনই। আমরা পুলিসেও অভিযোগ দায়ের করেছি। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি পুলিস। হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিসের তরফে বলা হয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। পলাতক যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এদিকে, ধনেখালি ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌমেন বসু বলেন, সৌমি পাল আমাদের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। পুলিস তদন্ত করছে। যে বা যারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।