কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সোমবার পুরভবনের বৈঠকে আলো বিভাগের ডিজি সঞ্জয় ভৌমিক তাঁকে বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়ার কারণগুলি জানান। আলো বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে এত বাতিস্তম্ভ রয়েছে। কিন্তু কোথাও এমন ভেঙে পড়ার ঘটনা আগে ঘটেনি। ঝড়-বৃষ্টিতেও হয়নি। তাহলে কেন এমন ঘটল, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিভাগীয় কর্তারাও। স্থানীয় কাউন্সিলার নিজামুদ্দিন শামস বললেন, পুরসভার বাতিস্তম্ভ এভাবে মাঝখান থেকে ভেঙে পড়ার ঘটনা আমি আগে দেখিনি। আমার এই বস্তি এলাকায় কেবল ব্যবসার তার, সিইএসসি’র তার সহ একাধিক তার বাতিস্তম্ভের সঙ্গে জট পাকিয়ে টানা হয়েছে। সেগুলির ভারে ভেঙে পড়েছে কি না, তা দেখা উচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হোসেন শাহ রোডের বাসিন্দা কার্তিক দাসের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সকাল থেকে সেই অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতিপর্ব চলছিল। তাঁর ভাই অশোক দাস এবং তাঁর স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে এদিন সকালেই জামুই থেকে ওই বাড়িতে আসেন। আত্মীয়রা জানালেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রত্যেকেই আনন্দে মেতেছিলেন। ছোটরা বাইরে খেলাধুলো করছিল। বড়রা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। অমিত বাড়ির সামনে খেলা করছিল। তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল। কিন্তু তারা অমিতের থেকে কিছুটা দূরেই ছিল। সেই খেলা চলাকালীনই আচমকাই রাস্তার উপরে থাকা বাতিস্তম্ভটি ভেঙে পড়ে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন, বাতিস্তম্ভের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে অমিত। তার মুখ এবং মাথা ফেটে রক্ত বেরচ্ছে। খবর পেয়ে বিয়েবাড়ি থেকে প্রত্যেকেই ছুটে আসেন। ছেলের এমন অবস্থা দেখে অশোকবাবু কার্যত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাঁকে সামলাতে সামলাতেই অমিতকে সেখান থেকে কোনওভাবে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় একবালপুর মোড় সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু আঘাত গুরুতর এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় কয়েক ঘণ্টা পরই শিশুটির মৃত্যু হয়। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির পরিজনরা। বাড়িতে যাঁর বিয়ে হচ্ছিল, সেই তরুণীও ভাইকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে যান। তাঁর বাবা কার্তিক দাস বলেন, আমার মেয়ের বিয়ের দিন এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটে যাবে, তা কোনওদিন আঁচও করিনি। একটা ছোট্ট ছেলেকে চলে যেতে হল। নিজেকে আমার অপরাধী মনে হচ্ছে। কী থেকে কী হয়ে গেল, কিছুই বুঝতে পারছি না।