বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে, রাজ্যপাল সমাবর্তনে আসবেন কি না, বা তাঁকে আদৌ আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের উপর। নয়া বিধি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি তাঁকে কিছু পাঠাতে পারবে না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার ধনকারকে আনার জন্য কতটা আন্তরিক হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সোমবার রাত পর্যন্তও রাজ্যপাল আসছেন কি না, তার কোনও খবর নেই। কবে সেই খবর জানা যাবে, তারও নিশ্চিয়তা নেই। এদিকে সমাবর্তনের আর বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। তাই বেশি দেরি না করে আমন্ত্রণ কার্ড ছাপিয়ে বিতরণ করা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনিও আসবেন কি না, জানাননি। শিক্ষামহলের অভিমত, মুখ্যমন্ত্রী কোনওভাবেই রাজ্যপালের সঙ্গে একই মঞ্চে থাকবেন না। তাই তাঁকে কীভাবে এড়ানো যায়, সেই কৌশল বের করছে দপ্তর। তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর উপস্থিতির নিশ্চয়তা দেননি।
রীতি অনুযায়ী ডি লিট শংসাপত্রে আচার্যের সই থাকে। এবার কী হবে? শিক্ষামন্ত্রী কিছুদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজনে রাজ্যপালকে ছাড়াই সমাবর্তন হবে। সেক্ষেত্রে দপ্তরের কর্তারা যদি সিদ্ধান্ত নেন, যে রাজ্যপালের সই প্রয়োজন নেই, তাহলে উপাচার্যই তা করতে পারবেন। বিষয় হল, নিয়ম বা আইনে কী বলা হয়েছে? এ প্রসঙ্গে অবশ্য স্পষ্ট কোনও কিছু জানা যায়নি। তাছাড়া সব কিছু উপেক্ষা করে যদি রাজ্যপাল সমাবর্তনে আসেনও, যাদবপুরের মতো তাঁকে ঘিরে ফের বিক্ষোভ হবে না তো? সেই প্রশ্নও কিন্তু ঘুরপাক খাচ্ছে ক্যাম্পাস জুড়ে। তবে সবই নির্ভর করছে দপ্তরের সিদ্ধান্তের উপর। শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা নিয়ে সব পক্ষই অপেক্ষা করে আছে।