কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মেয়র ফিরহাদ হাকিম এব্যাপারে বলেন, অত্যন্ত নোংরা কাজ হয়েছে। ২০১০ সালের নথি এখন আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এরকম ওয়েবসাইট হ্যাক করে অন্যায় কাজ চলবে না। এই কাজে পুর প্রশাসনের অন্দরের কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, ২০১১ সালের সর্বশেষ জাতীয় নাগরিকপঞ্জির তথ্যের স্ক্রিন শট নিয়ে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়াচ্ছে। পুরসভার ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়নি বলেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইটের একটি লিঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, এনপিআর-এর জন্য ওয়ার্ড নম্বর, বাবার নাম ও আবেদনকারীর নাম চাওয়া হয়েছে। যা নিয়ে তুমুল বিভ্রান্তি ছড়ায়। বিষয়টি পুর কমিশনার খলিল আহমেদ এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নজরে আনা হয়। তারপর পুরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে যখন শেষবার এনপিআর হয়েছিল, তখন এই তথ্যগুলি চাওয়া হয়েছিল। তারপর ওয়েবসাইট থেকে তা সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সার্ভারে রয়ে গিয়েছিল। তবে পুর প্রশাসনের কর্তাদের কথায়, পুরসভার অন্দরের কেউ এই কাজটি করেছে। সার্ভার থেকে পুরনো পাতার ছবি আপলোড করেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। এই ব্যক্তি ওয়েবসাইটের জেএসপি নম্বর জানে। না হলে এই কাজ করা সম্ভব নয়। সোমবার পুরকর্তারা মেয়রের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন পুর কমিশনারও। কমিশনার মেয়রকে বলেন, যে ‘পাথ’টি ব্যবহার করা হয়েছে, তা অভ্যন্তরীণ কোনও কর্মী ছাড়া সম্ভব নয়। কারণ, নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতি পুর আধিকারিকদের ছাড়া জানা সম্ভব নয়।
আধিকারিকদের একাংশের কথায়, এখন এনপিআর এবং সিএএ নিয়ে রাজনৈতিক টালমাটাল চলছে। এমন অবস্থায় এই ভুয়ো সাইটটি তৈরি করে লিঙ্ক ছড়িয়ে দিতে পারে যে কেউ। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে বলে তাঁদের মত।