বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সোমবার কলকাতা পুরসভায় এব্যাপারে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্তা, পুরসভার জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা বিভাগের আধিকারিক সহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ধাপায় যতক্ষণ না কাঠামোটি তৈরি হচ্ছে, ততদিনের জন্য কন্টেনার বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে কাগজ কুড়ানিরা সামগ্রী সংগ্রহ করবেন। কলকাতার ফুটপাত বা শহরের অন্য কোথাও থেকে তাঁরা ওই জঞ্জাল নিতে পারবেন না। এদিনের বৈঠকে লালবাজারের প্রতিনিধিকে বলা হয়েছে, পুলিসের তরফে যেন এবিষয়ে নজর রাখা হয়। একইসঙ্গে, এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পাদন করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে পুলিস ও পুরসভার কর্তারা থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে এই কাজ করতে গিয়ে পুরকর্মী-আধিকারিকরা কোথাও কোথাও হেনস্তার মুখে পড়েছেন। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পুরকর্মীদের কাজে বাধা দিচ্ছে বলেও খবর। সেই বিষয়টিও এদিনের বৈঠকে উঠে এসেছে। মেয়র বলেন, সেই বাধা কোনওভাবে মেনে নেওয়া হবে না। পুর প্রশাসনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবেই।
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে দৈনিক প্রায় সাড়ে চার হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। তার অনেকটাই অজৈব বর্জ্য, যার বেশিরভাগই আবার প্লাস্টিক। এক সময়ে পুরো বর্জ্যই ভাগাড়ে নিয়ে ফেলা হত। কলকাতা পুরসভার সব থেকে বড় ভাগাড় বাইপাস সংলগ্ন ধাপা। কিন্তু ধাপার জঞ্জাল ধারণ ক্ষমতা কার্যত ফুরিয়ে এসেছে। তাছাড়া, অজৈব বর্জ্য পচে মাটিতে না মেশায় ভাগাড় থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে। দেশের কঠিন বর্জ্য বিধি এবং জাতীয় পরিবেশ আদালতের সর্বশেষ রায়ে প্লাস্টিক বর্জ্যের বিষয়ে নির্দেশিকা রয়েছে। যার ফলে এখন বর্জ্য পৃথকীকরণ বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় কঠিন বর্জ্য বিধি অনুযায়ী, প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার অথবা তা পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদন করতে হবে। কিন্তু সেই পরিকাঠামো কলকাতায় এখনও নেই। তার ফলে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। আপাতত প্লাস্টিক বর্জ্য ভাগাড়েই ফেলা হচ্ছে। কিন্তু সেটাও বেশি দিন করা যাবে না। সেকারণেই মেয়র আগেই বর্জ্য পৃথকীকরণে জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি, কাগজ কুড়ানিদের মাধ্যমেই পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী আবর্জনার স্তূপ থেকে বের করে নিয়ে আসতে চাইছেন মেয়র সহ পুর প্রশাসনের কর্তারা।