পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন ঘটনাস্থলে এসে হাওড়ার এডিএফও শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন, প্রাথমিকভাবে এলাকা ঘুরে এবং সিসি ক্যামেরা দেখে যা মনে হচ্ছে তাতে ওটি কোনওভাবেই বাঘ নয়। তবে এই এলাকায় মেছো বেড়াল বা বাঘরোলের বসতি আছে। ফলে ওটি বাঘরোল হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। বাসিন্দাদের আমরা আতঙ্কিত হতে বারণ করেছি। এলাকায় বনদপ্তরের ক্যাম্প থাকছে। বাঘ ধরার খাঁচাও পাতা হচ্ছে। পাশাপাশি আরও তত্ত্বতলাশ করে দেখা হবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছালাল যাদব বলেন, সকাল থেকেই একটি গুজব ছড়িয়েছিল। বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। বনদপ্তরের কর্তারা এসেছিলেন। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আবেদন করেছেন। আমাদেরও মনে হয়েছিল জন্তুটি বাঘরোলই হবে।
স্থানীয় ও বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কানাইপুর এলাকায় গাছগাছালি ও সবুজের বিস্তার আছে। এই এলাকাতেই রবিবার গভীর রাতে কর্ণ সাঁপুই নামে এক আসবাব ব্যবসায়ীর সিসি ক্যামেরার ফুটেছে ওই জন্তুটির ছবি দেখা যায়। রাত ১২টা নাগাদ দোকানের বাইরের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় একটি দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানের পাশ দিয়ে বাঘের মতো জন্তুটি দুলকি চালে হেঁটে চলে যাচ্ছে। রাতেই দোকানে থাকা দুই কর্মী বিষয়টি নজর করেন।
তারপর সকাল হতেই সাত সেকেন্ডের ওই ভিডিও ফুটেজ নিয়ে এলাকায় বাঘের আগমনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় আতঙ্ক এমন জাঁকিয়ে বসে যে স্থানীয় যুবকদের একাংশ লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝোপঝাড়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বনকর্মীরা এসে পায়ের ছাপ সহ অন্যান্য সূত্র খুঁজে দেখে ওই প্রাণীটিকে বাঘরোল বলে চিহ্নিত করেন। তবে বাসিন্দাদের আতঙ্কের কথা ভেবে এলাকায় বনকর্মীদের ক্যাম্প বসানো হয়েছে। তবে বনদপ্তরের দাবি, ওই এলাকার পরিবেশ মেছো বিড়াল বা বাঘরোলের উপযুক্ত বসতি। সপ্তাহখানেক আগেই দেড় কিমি দূরে রিষড়ার বাগখাল থেকে একটি মৃত বাঘরোল মিলেছিল। যদিও বনদপ্তরের আশ্বাসের পরেও এলাকায় বাঘের আতঙ্ক নির্মূল হচ্ছে না।